কমলগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
শৈত্য প্রবাহ আর কনকনে ঠান্ডা জনিত রোগে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গত কয়েকদিন ধরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি, হিমেল ঠান্ডা বাতাস আর কুয়াশার কারণে শীত জেঁকে বসেছে। দিনের বেলা সৃর্যের দেখা পাওয়া যায়না। শীতের তীব্রতার কারণে মানুষ তেমন একটা ঘর থেকে বেড় হচ্ছেন না। ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। তারপরও নিম্ন আয়ের মানুষরা প্রচন্ড ঠান্ডা উপেক্ষা করে জীবিকার তাগিদে ঘর থেকে বের হচ্ছেন। এদিকে গত কয়েকদিনে কমলগঞ্জ উপজেলা জুড়ে শৈত্যপ্রবাহ ও শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় দেখা দিয়েছে নানা ধরনের রোগ বালাই। বেড়েছে নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়াসহ শীতজনিত বিভিন্ন রোগের প্রকোপ। যার শিকার হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। বিশেষ করে চা বাগান অধ্যুষিত কমলগঞ্জ উপজেলায় শীতের তীব্রতায় বৃদ্ধ ও শিশুরা কষ্ট পাচ্ছে সবচেয়ে বেশি। ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া ছাড়াও সর্দি-কাশি ও ঠান্ডা জনিত চর্মরোগসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন এ অঞ্চলের মানুষরা। নিন্ম আয়ের মানুষরা গরম কাপড়ের অভাবে মানবেতর জীবন যাপন করছে। এছাড়া গৃহপালিত পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরাও। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গত একসপ্তাহে ৮৬ জন রোগী বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা নিয়েছে বলে জানা যায়। বর্তমানে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রায় অর্ধশতাধিক রোগী বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধরা ডায়রিয়া সর্দি, কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন। এদিকে চিকিৎসা নিতে আসা কমলগঞ্জ পৌরসভাধীন কুমড়াকাপন এলাকার শিশু রোগী সিয়াম হাসিনা বেগম অভিযোগ করে বলেন, হাসপাতালে খাবার স্যালাইন ছাড়া আর কোন ঔষধ না দেয়া হচ্ছে না, প্রয়োজনীয় ঔষধ বাহির থেকে কিনে আনতে হচ্ছে। আমরা নিন্ম আয়ের মানুষ ঔষধের জন্য এত টাকা কোথায় পাবো।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র স্টাফ নার্স রুবিনা আক্তার বলেন, শিশুদের ঔধষের সাপ্লাই না থাকায় রোগীর স্বজনরা ঔষধ বাহির থেকে সংগ্রহ করছেন।
কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সাজেদুল কবীর বলেন, শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রতিদিন বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন।
শ্রীমঙ্গলের আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক মুজিবুর রহমান বলেন, বর্তমানে সারা দেশের মত শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জে মৃদু শৈত্য প্রবাহ বইছে মঙ্গলবার শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ ডিগ্রী সেলসিয়াস।