ওসমানীনগর থেকে সংবাদাতা :
ওসমানীনগরে জায়গা সংক্রন্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে সৎপুত্রদের হামলায় বৃদ্ধ মা সহ ৫ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় উপজেলার বুরুঙ্গা ইউনিয়নের নিজ বুরুঙ্গা গ্রামের মৃত হারুন মিয়ার স্ত্রী বৃদ্ধা ফিরোজা বেগম (৬০) বাদি হয়ে সৎ পুত্র শওকত আলী, মুকিত মিয়া ও তার স্ত্রী রিতা বেগম এবং পুত্র জুবেল মিয়া, ভাতিজা রাজু মিয়া, শরিফ, সাধু মিয়া, মানিক মিয়ার নাম উল্লেখসহ আজ্ঞাত ৩/৪ জনকে অভিযুক্ত করে রবিবার সন্ধ্যায় ওসমানীনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগ পেয়ে গতকাল সোমবার থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার বুরুঙ্গা ইউনিয়নের নিজ বুরুঙ্গা গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, উপজেলার নিজ বুরুঙ্গা গ্রামের বৃদ্ধ ফিরোজা বেগম সাথে সৎ ছেলে মুকিত মিয়া ও ভাতিজাদের বিরোধ চলে আসছে। তারা ফিরোজা বেগমের বসত বাড়ীটি আত্মসাতের হীন উদ্দেশ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ভাবে হয়রানী করে আসছে। বৃদ্ধ ফিরোজা বেগমের তিন পুত্রদের মধ্যে দুইজনই বাড়ি ছেড়ে ঢাকায় বসবাস করায় বর্তমানে এক পুত্রকে নিয়ে তিনি স্বামীর রেখে যাওয়ায় তার নামে রেকর্ডীয় বসত বাড়িতে বসবাস করে আসছেন। ওই বৃদ্ধ একা বাড়িতে থাকার সুবাধে মুকিত গংরা তাকে নানা ভাবে হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে। বিষয়গুলো নিয়ে একাধিক বার গ্রাম্য সালিশ বৈঠক হয়েছে মুকিত গংরা উশৃংঙ্খল প্রকৃতির লোক থাকায় বিরোধের নিষ্পত্তি হচ্ছে না। বর্তমানে বসত বাড়িটি দখল নিতে মুকিত ও তার সহযোগীরা মরিয়া হয়ে উঠেছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত শনিবার সন্ধ্যায় সৎ পুত্র মুকিদ মিয়া তার সহযোগীদের নিয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বসত ঘরে হামলা চালায়। এ সময় ফিরুজা বেগম বাধা দিলে তাদের হামলায় তিনিসহ তার নিজ পুত্র খলিল মিয়া এবং জলিল মিয়া ও শিশুসহ ৫ জন আহত হয়েছেন। এসময় মুকিত ও তার সহযোগীরা ঘরের আসবাপত্র ভাংচুরসহ মালামাল লুট করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। পরবর্তীতে স্থানীয়রা আহত বৃদ্ধ ফিরোজা বেগম সহ আহতদের উদ্ধার করে বালাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। আহতদের মধ্যে জলিল মিয়া এখনো গুরুত্বর অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা গেছে।
আহত ফিরোজা বেগম বলেন, আমি বৃদ্ধ মানুষ কোন সময়ও আমি তাদের সৎ ছেলে মনে করিনি। কিন্তু আমার নিজ পুত্ররা চাকুরীর জন্য ঢাকায় থাকার সুবাধে মুকিত তার চাচাতো ভাইদের নিয়ে বিভিন্ন ভাবে আমাকে হয়রানী করে আসছে। শনিবার মুকিত তার সহযোগীদের নিয়ে বসত ঘরে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে ও মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। তাদের হাতে থাকা অস্ত্রে আঘাতে আমিসহ আমার পুত্র জলিল মারাত্মক আহত হই।
অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসমানীনগর থানার এএসআই দিবাস চন্দ্র দাশ বলেন, অভিযোগ পেয়ে সোমবার বিকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।