প্রতিশোধ নিয়ে রংপুরের প্রথম জয়

4

ক্রীড়াঙ্গন রিপোর্ট :
বঙ্গবন্ধু বিপিএলে গত ১৪ ডিসেম্বর ঢাকায় রংপুর রেঞ্জার্সকে ৬ উইকেটে হারিয়েছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। চট্টগ্রামে গিয়ে সেই হারের প্রতিশোধ নিয়েছে রংপুর। বিপিএলে শনিবার দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে চট্টগ্রামকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে অ্যাবেল-মোস্তাফিজদের দল। পাঁচ ম্যাচ খেলে রংপুরের এটি প্রথম জয়। অন্যদিকে, সাত ম্যাচ খেলে দ্বিতীয়বার হারল চট্টগ্রাম।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে চ্যালেঞ্জার্সদের দেয়া ১৬৪ রানের জয়ের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ১৮.৪ ওভারে ৬ উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নেয় রংপুর।
দলের পক্ষে ৩৭ বলে ৬টি চার ও পাঁচটি ছক্কার সাহায্যে ৭৬ রান করে অপরাজিত থাকেন লুইস গ্রেগরি। ২১ বলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৩৮ রান করে অপরাজিত থাকেন ফজলে মাহমুদ। চট্টগ্রামের বোলারদের মধ্যে রুবেল হোসেন ২টি, মেহেদী হাসান রানা ১টি, লিয়াম প্লানকেট ১টি করে উইকেট নেন।
ব্যাটিংয়ে নেমে রংপুরের শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি। খুব ধীরে এগোতে থাকে তারা। ইনিংসের প্রথম ওভারেই ফিরে যান নাঈম শেখ। তৃতীয় ওভারে ফেরেন অপর ওপেনার দেলপোর্ট। পাওয়ারপ্লে তথা প্রথম ৬ ওভারে ২ উইকেটে ৩২ রান তোলে রংপুর।
সপ্তম ওভারে দলীয় ৩৬ রানে স্কুপ শট খেলতে গিয়ে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ হন অধিনায়ক অ্যাবেল। দলীয় ৭৬ রানে ফিরে যান সাদমান। তারপর গ্রেগরি ও ফজলে মাহমুদ খেলায় প্রাণ ফেরান। ভয়ডরহীন ব্যাটিং করতে থাকেন দুজন। ৯১ রানের জুটি গড়ে অপরাজিত থাকেন তারা।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৬৩ রান সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। স্বাগতিক দলের পক্ষে ৪০ বলে ৮টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৭২ রান করেন ওপেনার অভিশকা ফার্নান্দো। ১২ বলে ১৭ করে অপরাজিত থাকেন প্লানকেট।
রংপুরের বোলারদের মধ্যে মোস্তাফিজুর রহমান ২টি, মুকিদুল ইসলাম ১টি, লুইস গ্রেগরি ২টি, মোহাম্মদ নবী ১টি ও সঞ্জিত সাহা ১টি করে উইকেট নেন।
চট্টগ্রাম ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারে দলীয় শূন্য রানেই উইকেট হারায়। মোস্তাফিজের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান সিমন্স। চতুর্থ ওভারে বিদায় নেন অধিনায়ক ইমরুল। চার নম্বর পজিশনে নেমে ১৩ বলে ৯ রান করে বিদায় নেন নাসির।
অন্যরা সুবিধা করতে না পারলেও বিস্ফোরক ব্যাটিং করতে থাকেন অভিশকা ফার্নান্দো। দলীয় ৯৫ রানে সঞ্জিতের ঘূর্ণি না সামলাতে পেরে বোল্ড হয়ে যান তিনি। ৪০ বলে ৮টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৭২ রান করেন শ্রীলঙ্কান এই ক্রিকেটার।
দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ওয়ালটন আজ সুবিধা করতে পারেননি। ১৪ বলে ১৬ করে তিনি প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। ১৭তম ওভারে মুক্তার আলীকে সাজঘরে ফেরান মোস্তাফিজ। শেষদিকে প্লানকেট ছোট তবে কার্যকরী ইনিংস খেলে দলের স্কোরটা বাড়িয়ে দেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ফল: ৬ উইকেটে জয়ী রংপুর রেঞ্জার্স।
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ইনিংস: ১৬৩/৭ (২০ ওভার)
(সিমন্স ০, অভিশকা ৭২, ইমরুল ১০, চাঁদউইক ওয়ালটন ১৬, নুরুল ২০, মুক্তার ১২, প্লানকেট ১৭*, রুবেল ২*; মোস্তাফিজ ২/২৩, মুকিদুল ১/৪২, গ্রেগরি ২/২৭, নবী ১/৩৩, সঞ্জিত ১/২৫, অ্যাবেল ০/১৩)।
রংপুর রেঞ্জার্স ইনিংস: ১৬৭/৪ (১৮.৪ ওভার)
(নাঈম শেখ ৪, দেলপোর্ট ৪, অ্যাবেল ২৪, গ্রেগরি ৭৬*, ফজলে মাহমুদ ৩৮*; রুবেল ২/৩৭, রানা ১/১৬, প্লানকেট ১/৪৬, নাসুম ০/২৩, মুক্তার ০/৪৩)।
প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ: লুইস গ্রেগরি (রংপুর রেঞ্জার্স)।