হবিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
হবিগঞ্জের বাহুবলে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। মৃত্যুর ৩ দিনের মাথায় মঙ্গলবার তার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। যৌতুকের জন্য বিয়ের মাত্র ৬ মাসের মাথায়ই তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছে পরিবারের লোকজন। এদিকে তার গলা থেকে মাথা পর্যন্ত আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে জানান ময়নাতদন্তকারী ডাক্তার। নিহত গৃহবধূ ওই উপজেলার ভরগাঁও গ্রামের আব্দুল হামিদ চৌধুরীর মেয়ে লাভলী আক্তার।
নিহত গৃহবধূর চাচা আব্দুল মতিন চৌধুরী জানান, প্রায় ৬ মাস পূর্বে লাভলীকে একই উপজেলার লাকড়িপাড়া গ্রামের নির্মাণ শ্রমিক হেলাল মিয়ার সাথে বিয়ে দেয়া হয়। এরপর থেকেই সে যৌতুকের জন্য চাপ দিতে থাকলে ৫০ হাজার টাকা দেয়াও হয়। সম্প্রতি আবারও টাকার জন্য চাপ দেয়। লাভলী তা দিতে অপারগতা জানালে তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা রোববার হত্যা করে অসুস্থ দেখিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করে। এ সময় ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করলে তারা বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে লাশের গায়ে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পেয়ে তারা লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এ সময় তার স্বামী পালিয়ে যায়।
সদর আধুনিক হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. দেবাশীষ দাশ জানান, সোমবার তাকে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে এলে সুরতহাল রিপোর্টের সাথে লাশের বাহ্যিক আঘাতের সামঞ্জস্য পাইনি। পরবর্তীতে পুলিশ এসে এটি সংশোধন করে দিলে মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত করা হয়। তার বুকের উপরের অংশ থেকে মাথা পর্যন্ত আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।