স্পোর্টস ডেস্ক :
বঙ্গবন্ধু বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে সিলেট থান্ডারকে ৫ উইকেটে হারিয়েছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। সেই সিলেটকে আবার হারাল রিয়াদের দল। বিপিএলে মঙ্গলবার চট্টগ্রাম পর্বের প্রথম দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে মোসাদ্দেক হোসেনের দলকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে চট্টগ্রাম। সিলেটের দেয়া ১৩০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ১৮ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় স্বাগতিকরা।
এই জয়ে বড় অবদান নুরুল হাসান সোহান ও মেহেদী হাসান রানার। কারণ ব্যাটিংয়ে দল যখন ৮৫ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল তখন দারুণ ব্যাটিং করেন সোহান। ২৪ বলে ২টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৩৭ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। ৩৭ বলে ৪৪ করে আউট হন সিমন্স। আর ১৭ বলে ১টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ১৮ রান করে অপরাজিত থাকেন কেজরিক উইলিয়ামস। এর আগে ৪ ওভারে ২৩ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে চট্টগ্রামের জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছিলেন দলটির পেসার মেহেদী হাসান রানা। ম্যাচ সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারও উঠেছে রানার হাতে।
৪ ম্যাচ খেলে ৩টিতে জিতে চট্টগ্রাম পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে গিয়েছে। আর ৪ ম্যাচ খেলে সবকটিতে হেরে ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে সিলেট।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে সহজ লক্ষ্যমাত্রা সামনে রেখে ব্যাটিং করতে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকান সিমন্স। কিন্তু সেই ধারা অব্যাহত থাকেনি। সিলেটের বোলারদের চাপে স্বস্তিতে ছিল না চট্টগ্রামের ব্যাটসম্যানরা।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ওপেনার অভিশকাকে হারায় চট্টগ্রাম। ওয়ানডাউনে নেমে ইমরুল কায়েস মাত্র ৬ রান করে ইনিংসের চতুর্থ ওভারে বিদায় নেন। এর পরের ওভারেই ফিরতে হয় অধিনায়ক রিয়াদকে। দলীয় ৫৬ রানে বিদায় নেন নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান ওয়ালটন।
অন্য প্রান্তের ব্যাটসম্যানরা হতাশ করলেও এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন সিমন্স। কিন্তু তিনি দলীয় ৮৪ রানে রান আউট হন। দলীয় ৮৫ রানে সানতোকির বলে এলবিডব্লিউ হন মুক্তার আলী।
দল যখন চরম বিপাকে তখন আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন সোহান। সপ্তম উইকেট জুটিতে ৪৫ রানের জুটি গড়ে অপরাজিত থাকেন সোহান ও উইলিয়ামস।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১২৯ রান সংগ্রহ করে সিলেট থান্ডার। সিলেটের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন ফ্লেচার। এই রান করতে তিনি বল খেলেন ৩২টি। অধিনায়ক মোসাদ্দেক ২২ বলে করেন ৩০ রান। চট্টগ্রামের বোলারদের মধ্যে ৪ ওভারে ২৩ রান দিয়ে ৪টি উইকেট নেন পেসার মেহেদী হাসান রানা।
এছাড়া রুবেল হোসেন ২টি, মুক্তার আলী ১টি ও কেজরিক উইলিয়ামস ১টি করে উইকেট নেন। আর ৪ ওভারে ১৭ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকেন স্পিনার নাসুম আহমেদ।
সিলেট ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে। দলের ব্যাটিং বিপর্যয়ের মধ্যে ফ্লেচার এবং মোসাদ্দেক কিছুটা লড়াই করতে পেরেছেন। সর্বোচ্চ ৪০ রানের পার্টনারশিপ করেন মোসাদ্দেক-নাঈম। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৯ রানের জুটি গড়েন ফ্লেচার-মিথুন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ফল: ৪ উইকেটে জয়ী চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
সিলেট থান্ডার ইনিংস: ১২৯/৮ (২০ ওভার)
(রনি তালুকদার ২, ফ্লেচার ৩৮, শফিকুল্লাহ ৬, মিথুন ১৫, চার্লস ৩, মোসাদ্দেক, নাঈম হাসান ১১, দেলোয়ার ৭*, সানতোকি ৯, অপু ০*; নাসুম ০/১৭, রুবেল ২/২৮, রানা ৪/২৩, মুক্তার ১/২৬, কেজরিক ১/৩১)।
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ইনিংস: ১৩০/৬ (১৮ ওভার)
(সিমন্স ৪৪, অভিশকা ৫, ইমরুল ৬, রিয়াদ ২, ওয়ালটন ৯, সোহান ৩৭*, মুক্তার ০, উইলিয়ামস ১৮*; অপু ০/৩৪, সানতোকি ৩/১৩, ইবাদত ১/২৮, দেলোয়ার ১/৩১, নাঈম ০/১৮)।
প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ: মেহেদী হাসান রানা (চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স)।