হবিগঞ্জে সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণ, ধর্ষণকারীর সহযোগী গ্রেফতার

87
আটক ধর্ষণকারীর সহযোগী নোমান আহমেদ।

ছনি চৌধুরী হবিগঞ্জ থেকে :
হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার বাউসা ইউনিয়নে এক সপ্তম শ্রেণীতে পড়ুয়া জনৈক (১৬) বয়সী এক কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় নোমান আহমেদ (১৮) নামে ধর্ষণকারীর সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ। গ্রেফতারের সময় পুলিশ এবং বাদী পক্ষের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে গ্রেফতারে বাধা দেয় আসামি পক্ষের লোকজন ।
রবিবার দুপুরে নবীগঞ্জ থানার একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে নোমানকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ ও মামলার বাদী সূত্রে জানা যায়, গত (১৩ মার্চ) বুধবার রাত ১১টায় বাথরুমে যাওয়ার জন্য ঘর থেকে বের হয় উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের হরিধরপুর গ্রামের হযরত তাজ উদ্দিন কূরেশী উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীতে পড়ুয়া শিক্ষার্থী জনৈক (১৬)। সে সময় আগে থেকেই ওৎপেতে থাকা ওই এলাকার ছাদ্দক মিয়ার পুত্র ইউসুফ মিয়া (৩৫) ও তার সহযোগী নোমান মিয়া (১৮) ওই জনৈক মেয়েকে জোর করে বেঁধে স্থানীয় একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে অস্ত্রের মুখে ভয়ভীতি দেখিয়ে সহযোগী নোমান কিশোরীকে ধরে রাখে এবং ইউসুফ মিয়া কিশোরীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে মেয়ে বাথরুম থেকে না আসায় বাবা চারিদিকে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে স্থানীয় একটি নির্জনস্থানে গাছের সাথে অচেতন অবস্থায় দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করেন। এ ঘটনার পর থেকে সুষ্ঠু সমাধান এবং উপযুক্ত বিচার করে দেয়ার নামে ঘটনাটিকে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে স্থানীয় গ্রাম্য মোড়লরা। এ ঘটনার ৩ দিন অতিবাহিত হলেও ধর্ষণের ঘটনার সুষ্ঠু সমাধান না হওয়ায় মেয়ের বাবা নুর ইসলাম নবীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তাৎক্ষণিক নবীগঞ্জ থানার ওসি(তদন্ত) গোলাম দস্তগীরের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ধর্ষণকারীর সহযোগী নোমানকে গ্রেফতার করতে গেলে স্থানীয় গ্রাম্য মোড়ল ও আসামী পক্ষের লোকজন পুলিশের উপর ও বাদীর উপর ক্ষিপ্ত হয়। এ সময় মেয়ের বাবাকে মারধর করে রক্তাক্ত করে তারা। পরে নোমানকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। এ ঘটনায় আহত মেয়ের বাবা নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ চিকিৎসা নেন। এখন পর্যন্ত এ ঘটনার মূল হোতা ও ধর্ষণকারী ইউসুফকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
নবীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) গোলাম দস্তগীর জানান, আসামীকে ধরতে গেলে সেখানের লোকজন আমাদের কাজে বাধা দেয়,পরে আমার সঙ্গীয় ফোর্স আসামীকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসতে সক্ষম হই।
নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ ইকবাল হোসেন জানান, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এঘটনায় আসামী নোমানকে ধরতে গেলে কিছু লোকজন এসে পুলিশের কাজে বাধা দেয়। সরকারি কাজে বাধা দেয়ার ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।