জৈন্তাপুরে মাদ্রাসায় দুই শিক্ষকের হাতাহাতিতে আহত ১

8

জৈন্তাপুর থেকে সংবাদদাতা :
জৈন্তাপুর উপজেলার চাক্তা খরিল নেজামুল উলুম আলিম মাদ্রাসার শিক্ষা অফিসের প্রণোদনার ১ লক্ষ টাকা ও শিক্ষকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার কাগজ পত্র যাচাই করতে গেলে প্রিন্সিপাল মাওলানা মুজিবুর রহমান ও মাওলানা বাবুল হোসাইনের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ১ জন আহত হয়েছে বলে জানা যায়। মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আহত শিক্ষক ফারুক হোসাইন বলেন, প্রণোদনার ১ লক্ষ টাকা ও শিক্ষকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার কাগজ পত্র যাচাই করতে গেলে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে প্রিন্সিপাল মাওলানা মুজিবুর রহমান ও হার্ট সার্জারির রোগী মাদ্রাসার আরবী প্রভাষক বাবুল হোসাইনের উপর হামলা করেন। এ সময় আমি সহ শিক্ষকরা এগিয়ে আসলে আমার উপর প্রিন্সিপাল রাগান্বিত হয়ে চেয়ার দিয়ে স’জুরে আঘাত করেন। এতে আমি আহত হয়ে জৈন্তাপুর উপজেলা সাস্থ কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ী চলে যাই। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রিন্সিপাল মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে মাদ্রাসার ফান্ডের নামে শেকায়েফ থেকে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।
অভিযুক্ত প্রিন্সিপাল মুজিবুর রহমান প্রতিবেদককে বলেন, হুজুরদের শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার কাগজ পত্র যাচাই করতে গেলে বাবুল হোসেন এর কাগজপত্রে ভুল তথ্য ধরা পড়ে। এনিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায় বাবুল হোসেন টেবিলে থাবা দিয়ে আমাকে দমক দেয়। এমন সময় সহকারী শিক্ষক ফারুক আহমদ এসে আমার সাথে খারাপ আচরণ করে। তারা প্রায়ই আমার সাথে এরূপ আচরণ করে থাকে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সোলাইমান হোসেন প্রতিবেদককে বলেন, আমার কাছে এ ব্যাপারে কেউ কোন অভিযোগ করেনি।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মাদ্রাসার সভাপতি কামাল আহমদ জানান, আমি আজকের ব্যাপারে কিছুই জানিনা।