কাজিরবাজার ডেস্ক :
ফাঁসির দণ্ড কার্যকর করার উদ্যোগ গ্রহণ করায় ভেঙ্গে পড়েছেন জামায়াত নেতা কামারুজ্জামান। মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ কামারুজ্জামানকে গতকাল বিকালে মৃত্যু পরোয়ানার কথা শোনানোর পর পরই তিনি হতবিহ্বল হয়ে পড়েন। এক রকম নির্বাক হয়ে যান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কারাকর্মকর্তা জানান, ভাই মৃত্যু পরোয়ানা শোনার পর কেউ কি ঠিক থাকতে পারে ? কামারুজ্জামানের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। ভাই এতো সোজা নয়!
জানা যায়, মৃত্যু পরোয়ানা শোনানোর পর কিছুক্ষণের জন্য তিনি নির্বাক হয়ে যান। পরে অবশ্য নিজেকে সামলে নেয়ার চেষ্টা করেন এই জামায়াত নেতা। তিনি এখন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ৮ নম্বর সেলে বন্দী জীবন কাটাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে পরোয়ানা কারাগারে পৌছানোর পরে তাকে তা পড়ে শোনানো হয়। বিমর্ষ কামারুজ্জামান তার আইনজীবিদের সাথে স্বাক্ষাত করার আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন। কামারুজ্জামানের পরিবারকে কারা কর্তৃপক্ষ ফোনে মৃত্যু পরোয়ানা জারির বিষয়টি অবহিত করেছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহাব মিঞার নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ পরোয়ানা জারি করেন। দুপুর দেড়টার সময় লাল কাপড়ে মোড়ানো মৃত্যু পরোয়ানা ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌছানো হয়। পরে বেলা ৩ টার সময় ওই পরোয়ানা কামারুজ্জামাকে পড়ে শোনানো হয়।
এর আগে তিনি গতকাল ভোরে ঘুম থেকে ওঠেন। ফজরের নামাজ আদায় করেন । ধর্মীয় বই পত্র পড়ে সকালের নাস্তা খান। দুপুর পর্যন্ত তিনি ভালোই ছিলেন। দুপুরে খাবার খান কারাগারের দেওয়া সাদা ভাত, রুই মাছ ও সবজি দিয়ে। পরে তিনি কারাগারের নিজের সেলে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। মৃত্যুর পরোয়ানা কারাগারে পৌছানোর পরে তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পরামর্শ মতে তা কামারুজ্জামানকে পড়ে শোনানো হয়।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ফরমান আলী বলেন, মৃত্যুর পরোয়ানা কারাগারে পৌছানোর পরে তা কামারুজ্জামানকে পড়ে শোনানোর কথা স্বীকার করেন। কামারুজ্জামানের বিষয়ে পরবর্তী কার্যক্রম নিয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, কারাবিধি মোতাবেক সব কাজ সম্পন্ন করা হবে। তবে কামারুজ্জামানকে সকল প্রকার আইনী সুযোগ সুবিধা দেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।