আতিকুর রহমান মাহমুদ ছাতক থেকে :
ছাতকে দেড় শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার দুপুর গোবিন্দগঞ্জ ও বিকেলে ধারণবাজার থেকে জাউয়াবাজার পর্যন্ত পৃথক এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে সিলেট সিটি করপোরেশনের হুইল এক্সেভেটর এন্ড হাইড্রলিক হেমার ব্যবহার করা হয়। এতে গোবিন্দগঞ্জ ট্রাফিক পয়েন্ট এলাকার নিউ বুরাইয়া ও লন্ডন রেস্টুরেন্টসহ গোবিন্দগঞ্জ-ছাতক সড়কের প্রায় ১শ’৯টি বিভিন্ন ধরণের পাকা-আধাপাকা দোকান কোঠা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। বিকেলে ধারণবাজার, কৈতক পয়েন্ট ও জাউয়াবাজারে অভিযানে পরিচালনা করে সড়কের পাশে গড়ে উঠা প্রায় অর্ধশত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এদিকে উচ্ছেদের ঘোষণা ও নোটিশ পেয়ে শতাধিক দোকান পাঠ আগের দিন গুঁড়িয়ে নিয়েছে। তবে অভিযানের সময় অনেকের দোকানে ছিল নিত্যপ্রয়োজনীয় মালামাল। অনেকেই মালামাল অন্যত্রে সরিয়ে নিলেও অধিকাংশ ব্যবসায়িরা পারেন নি। ফলে তারা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছেন বলে ব্যবসায়িরা জানিয়েছেন।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের উপ-সচিব, এস্ট্রেট ও আইন কর্মকর্তা (নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) মোহাম্মদ মঞ্জুরুল ইসলামের নেতৃত্বে উচ্ছেদ অভিযানে সাথে ছিলেন, সুনামগঞ্জের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সুনামগঞ্জের নজরুল ইসলাম, ছাতকের উপ-সহকারি প্রকৌশলী মোহাম্মদ রমজান আলী, আরএনবি রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী সিলেট চৌকির সিআই নুর মোহাম্মদ, গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আখলাকুর রহমান, ছাতক থানার এসআই আজিজুর রহমান, দিলোয়ার হোসেন ও এএসআই খসরুজ্জামানের নেতৃত্বে সুনামগঞ্জ পুলিশ লাইনের পুলিশ সদস্যরা, সিলেট রেলওয়ে থানার আই ডব্লিউ আতাউর রহমান, আকবর হোসেন, এসআই আতিকুর রহমান প্রমুখ। সড়ক ও জনপথের ছাতক উপজেলা উপ-সহকারি প্রকৌশলী মোহাম্মদ রমজান আলী, গোবিন্দগঞ্জ থেকে জাউয়াবাজার পর্যন্ত উচ্ছেদ অভিযানে প্রায় ২শ’ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। গোবিন্দগঞ্জে অবশিষ্ট স্থাপনাগুলোর বিষয়ে তিনি বলেন, সব ডকুমেন্টে এসব জায়গার মালিক সড়ক ও জনপথ বিভাগ। সুতরাং এ বিষয় নিয়ে রেলের কর্তৃপক্ষকে ডেকেছেন সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের উপ-সচিব, এস্ট্রেট ও আইন কর্মকর্তা (নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) মোহাম্মদ মঞ্জুরুল ইসলাম। আজ (বুধবার) আবারো এ উচ্ছেদ অভিযান হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।