সমাবর্তনে শাবিতে হল খোলা রাখার দাবিতে প্রতিবাদ অব্যাহত

14
শাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মিছিল।

শাবি থেকে সংবাদদাতা :
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় সমবর্তনকে কেন্দ্র করে শীতকালীন ছুটির মধ্যে আবাসিক হলসমূহ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার (২০ অক্টোবর) মানববন্ধনে প্রক্টরিয়াল বডি’র বাধার প্রতিবাদে গতকাল এ বিক্ষোভ প্রদর্শন করে শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (২১ই নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে শতাধিক শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে একটি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে একটি বিক্ষোভ মিছিল ক্যাম্পাসের ইউনিভার্সিটি সেন্টার, একাডেমিক বন্ধন ‘ই’ এবং একাডেমিক ভবন ‘সি’ ঘুরে উপাচার্য ভবনের সামনে গিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
এ সময় বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘বুধবার শিক্ষার্থীদের যে মানববন্ধন ছিল তা একটি যৌক্তিক দাবী ছিল। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে মানবন্ধনে বাধা দেওয়া ছিল আমাদের জন্য লজ্জার, আমাদের জানা মতে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধনের মতো এমন নিরীহ কার্যক্রমে বাধা দেওয়া হয় না। কিন্তু প্রশাসনের অগণতান্ত্রিক ও স্বৈরাচারী সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য তারা এমন কার্যক্রমে বাধা দেয়।’
তারা আরোও বলেন, ‘বাংলাদেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ই কনভোকশনের সময় হল বন্ধ করে দেওয়া হয় না। কিন্তু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ঈদের ছুটি, পূজার ছুটি অমুক-তমুক ছুটির উপর ভিত্তি করে প্রশাসন সুযোগ পেলেই আবাসিক হল বন্ধ রাখে। অনেক শিক্ষার্থীরাই বিসিএস, চাকরীর পরীক্ষা ও টিউশনসহ বিভিন্ন কাজের জন্য হলে থাকতে চায়। আমরা সবাই এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাই।’
এদিকে, দীর্ঘ এক যুগ পর শাবিপ্রবিতে কাঙ্খিত সমবর্তন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। কিন্তু হঠাৎ করে দীর্ঘদিনের জন্য হল ও ক্যাম্পাস বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্তে এ মিলনমেলা বিঘিœত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সমাবর্তনে উপস্থিত থাকবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ। সমাবর্তনের সার্বিক নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে শীতকালীন ছুটি ১৮ই ডিসেম্বরের পরিবর্তে ৫ জানুয়ারী থেকে ১৬ জানুয়ারী করা হয় এবং ক্যাম্পাস বন্ধের পাশাপাশি আবাসিক হল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গত সোমবার (১৮ই নভেম্বর) সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, আবাসিক হল বন্ধের প্রতিবাদে ও নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় নিয়ে সমাবর্তনের সময় শিক্ষার্থীদের প্রবেশাধিকার দেওয়ার জন্য গতকাল (২০ই নভেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেন। তবে ‘অনুমতি না নিয়ে’ মানববন্ধন করার কারণ দেখিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাতে বাধা প্রদান করে।