কোম্পানীগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেছেন, আমার নির্বাচনী এলাকা গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর ও কোম্পানীগঞ্জে বর্তমান সরকারের আমলে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। বিশেষ করে শিক্ষা ও যোগাযোগ ক্ষেত্রে যুগান্তকারী উন্নয়ন হয়েছে। তিনি বলেন, তিন উপজেলার শিক্ষার উন্নয়নে আমি নিজ উদ্যোগে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করেছি। তিনটি উপজেলার অসংখ্য প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তি ও অবকাঠামো উন্নয়ন করেছি। এখনও যে সমস্ত প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন বাকি রয়েছে, সে সকল প্রতিষ্ঠানের অসমাপ্ত উন্নয়ন এই সরকারের আমলেই বাস্তবায়ন করা হবে। তিনি আরও বলেন, কোম্পানীগঞ্জের ইমরান আহমদ কারিগরি কলেজকে একটি পূর্ণাঙ্গ পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে রূপান্তরিত করা হবে ইনশাআল্লাহ।
বুধবার সকাল ১০ টায় দলইরগাওস্থ ইমরান আহমদ কারিগরি কলেজের একাদশ শ্রেণীর বিএম শাখার ১ম বর্ষের (২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ) শতভাগ উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে ও কলেজ পরিচালনা কমিটির অভিভাবক সদস্য কমর উদ্দিনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেটের জেলা প্রশাসক কাজী এমদাদুল হক, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শামীম আহমদ, ইউএনও সুমন আচার্য, গোয়াইনঘাট সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ফজলুল হক, সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (উত্তর) নজরুল ইসলাম, জেলা পরিষদ সদস্য জয়নাল আবেদিন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলি আমজদ, কোম্পানীগঞ্জ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আফতাব আলি কালা মিয়া। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সম্পাদক ইয়াকুব আলি, ইউপি চেয়ারম্যান রুকন উদ্দিন, ওসি সজল কানু, জেলা নারী উন্নয়ন ফোরামের সভানেত্রী ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন জাহান ফাতেমা, বর্নী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাজ্জাদুর রহমান, প্রভাষক কামাল হোসেন, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুর রহমান, আওয়ামীলীগ নেতা অকিল চন্দ্র বিশ্বাস, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা মন্তাজ আলি, কলেজের জমিদাতা রিয়াজ উদ্দিন, যুবলীগ নেতা রাসেল আহমদ, ইকবাল আহমদ, শাহাব উদ্দিন, আলিম উদ্দিন, কোম্পানীগঞ্জ ছাত্র পরিষদ সভাপতি রুপকচন্দ্র দাশ প্রমুখ।
এদিকে বেলা ১ টায় কলেজের অনুষ্ঠান শেষ করে সিলেট ভোলাগঞ্জ সড়কের হাইটেক পার্কের সামনে রাস্তা ধ্বসে যাওয়া ও ফাটল ধরা অংশ পরিদর্শনে যান মন্ত্রী ইমরান আহমদ। হঠাৎ আচমকা রাস্তা পরিদর্শনে গিয়ে তিনি সড়ক ও জনপদ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে মুঠোফোনে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি ঐ কর্মকর্তাকে বলেন, রাস্তার নির্মাণ কাজ শেষ না হতেই রাস্তা ধসে যাওয়া এবং ফাটল দেখা দেয়ায় রাস্তার নির্মাণ কাজ নিয়ে জনমনে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে। সুতরাং জনগণের সন্দেহ দূর করতে অবিলম্বে রাস্তার নির্মান কাজ পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। পরে তিনি হাইটেক পার্কের চলমান উন্নয়ন কাজও পরিদর্শন করেন।