ছনি চৌধুরী হবিগঞ্জ থেকে :
প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরা হলনা স্কুল ছাত্রীর ইয়াছমিন আক্তারের। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার শাহ মুশকিল আহসান (র.) মাজারের নিকটবর্তী কুরাগাঁও এলাকায় দ্রুতগামী বেপরোয়া একটি মাইক্রোবাস চাপায় নিহত হয় স্কুল ছাত্রী ইয়াছমিন।
মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। এ সময় প্রায় অধাঘন্টা মহাসড়কের যানচলাচল বন্ধ থাকে।
নিহত ইয়াছমিন আক্তার (১১) নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের কুড়াগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার্থী ও কুড়াগাঁও গ্রামের মৃত কাছন মিয়ার মেয়ে।
জানা যায়, উল্লেখিত সময় প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার কেন্দ্র পানিউমদা রাগীব রাবেয়া স্কুল এন্ড কলেজ থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিএসসি) এর বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বিষয়ের পরীক্ষা শেষে সিএনজি যোগে বাড়ি ফিরছিল ইয়াছমিন। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নবীগঞ্জ উপজেলার শাহ মুশকিল আহসান (র.) মাজারের নিকটবর্তী কুড়াগাঁও এলাকায় সিএনজি থেকে নেমে পড়েন ইয়াছমিন। তখন মহাসড়ক পারাপার হওয়ার সময় ঢাকাগামী অজ্ঞাত মাইক্রোবাস ইয়াছমিনকে মারাত্মক ভাবে চাপা দেয় এবং ঘাতক মাইক্রোবাস দ্রুত পালিয়ে যায়। এতে পিএসসি পরীক্ষার্থী ইয়াছমিন গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পথিমেধ্যে ইয়াছমিন মারা যায়। এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজন প্রায় আধাঘন্টা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। খবর পেয়ে শেরপুর হাইওয়ে থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন। এদিকে মেধাবী স্কুল ছাত্রী ইয়াছমিনের মৃত্যুতে এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
শেরপুর হাইওয়ে থানার ওসি মো. এরশাদুল হক ভূঁইয়া মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে এসআই মজিবুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করেছে।