মৌলভীবাজার থেকে সংবাদদাতা :
মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের সামনে থেকে অপহৃত হওয়া এক কিশোরীকে ৩ ঘণ্টার মধ্যে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রবিবার (১৭ নভেম্বর) ভোর রাতে অভিযান চালিয়ে কমলগঞ্জ উপজেলার দেওড়াচরা চা বাগান থেকে মেয়েটিকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
মেয়েটির বাড়ি হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার দিনাপুর গ্রামে। শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভৈরবগঞ্জবাজারে নানাবাড়িতে বেড়াতে গেলে তার বাবা অসুস্থ হয়ে যায়। পরে তার বাবাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাত ১০টার দিকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের গেটের সামনে ভৈরবগঞ্জবাজারে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিল ওই কিশোরী ও তার মামা। এসময় একটি প্রাইভেটকার লোকাল যাত্রী নিচ্ছে বলে জানালে কিশোরীর মামা জহিরুল ইসলাম ৩০ টাকা ভাড়া দিয়ে ভাগনীকে প্রাইভেটকারে তুলে দেন। কিছু সময় পর মেয়েটি তার মোবাইল ফোন থেকে মামাকে কল করে বলে ‘আমাকে বাঁচাও ড্রাইভার আমাকে নামিয়ে দিচ্ছে না কোথায় যেন নিয়ে যাচ্ছে’।
এর পরই লাইন কেটে যায় এবং মেয়েটির ফোন বন্ধ হয়ে যায়। পরে স্থানীয় এক সংবাদিককে ফোন করে বিষয়টি জানানো হলে তিনি ঘটনাটি মৌলভীবাজার সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশেদুল ইসলামকে জানান। তাৎক্ষণিক রাত ১টার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশেদুল ইসলামের নেতৃত্বে অভিযানে নামে পুলিশ। বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি করে রাত ৪টার দিকে কমলগঞ্জ উপজেলার দেওড়াচরা চা বাগান থেকে তাকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, মেয়েটির ভাগ্য ভাল যে ঠিক সময় তথ্য পেয়েছিলাম। ঘটনাস্থলের আলামত দেখে বুঝতে পারছি তাকে ধর্ষণের উদ্দেশে তারা চা বাগানে নিয়ে এসেছিল। প্রথমে গাড়িতে ২ জন থাকলেও পরে আরও ২ জন যুক্ত হয়। গণধর্ষণ করে মেয়েটিকে হয়তো মেরে ফেলত। পুলিশের গাড়ির উপস্থিতি বুঝতে পেরে ৪ অপরাধী পালিয়েছে তবে প্রাইভেটকারটি আটক করা হয়েছে এবং মেয়েটিকে সম্পূর্ণ অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করতে পেরেছি। অভিযুক্তদের দ্রুত আটক করা হবে।