হেমন্তের দিনে

19

ফেরদৌসী খানম রীনা

হেমন্ত নিয়ে এলো
নবান্নের উৎসব।
কৃষকের ঘরে ঘরে
যেন কলোরব।

নতুন ধানের ঘ্রাণে
পাড়া-পড়শির নেই ঘুম।
ঘরে ঘরে পিঠা -পায়েস
খাওয়ার পরে গেছে ধুম।

সোনালী ফসল রয়েছে
দিগন্ত জুড়ে।
দেখে কৃষাণ-কৃষাণীর
মনটা গিয়েছে ভরে।

সারাদিন কৃষক তাই
কাজ করে মাঠে।
কৃষকের ছেলে-মেয়েরা
মন দেয় পাঠে।

হেমন্তের সকালে শিউলি ফুলের
সুবাসে মন যায় ভরে।
অপরূপ সৌন্দর্যে শিউলি ফুল,
মনটি নেয় কেড়ে।

গাছে গাছে পাখিদের কলরবে,
মন থাকে না আর ঘরে।
হেমন্তের আবেশে মুগ্ধ মন
হারায় ঐ সুদূরে।

ভোর বেলা শিশির কণা
দেখতে লাগে বেশ।
হেমন্তের আগমনে পল্লী গাঁয়ে
আনন্দের নেই শেষ।

হেমন্তের হিমেল হাওয়া
হৃদয়ে দেয় দোলা।
শিশির সিক্ত স্নিগ্ধ ভোর
যাবেনা কখনোও ভোলা। .