বন্দরবাজার-চৌহাট্টা সড়কে রিক্সা চলাচল নিষিদ্ধ

15

স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর বন্দরবাজার-চৌহাট্টা-জিন্দাবাজার সড়ক দিয়ে রিক্সা চলাচল নিষিদ্ধ করে দিয়েছে সিসিক ও পুলিশ। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর নির্মান কাজ শেষে অবশেষে উন্মুক্ত হলো নগরীর গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি।
এর আগে এই সড়কে যানবাহন একমুখী (ওয়ানওয়ে) চলাচল করতে পারলেও এখন উভয়মুখী চলাচলের জন্যই উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। তবে এই সড়কে রিক্সা চলাচল বন্ধ করছে সিলেট সিটি করপোরেশন। সিটি করপোরেশন ও মহানগর পুলিশের এক সভায় এই সড়কে রিক্সা চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নগরীর প্রধানতম এই সড়ক এতোদিন একমুখী যান চলাচল হতো। চৌহাট্টা থেকে বন্দরবাজার মুখী যানবাহন চলাচল করতে পারতো না। তবে গত বুধবার রাত থেকে সড়কটি উভয়মুখী যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে।
সিলেট সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা যায়, চৌহাট্টা থেকে জিন্দাবাজার হয়ে বন্দরবাজারের কোর্ট পয়েন্ট পর্যন্ত সড়কে এতোদিন একদিক থেকেই যানবাহন চলতে করতে পারতো। তবে নগরবাসীর স্বার্থে এবং সড়কটিকে হকারমুক্ত রাখতে এখন চৌহাট্টা থেকে কোর্ট পয়েন্ট পর্যন্ত সড়ক উভয়মুখী যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর ফলে উভয় দিক থেকেই যানবাহন চলাচল করতে পারবে। তবে এ সড়কে রিকশা, লেগুনা কিংবা ট্রাক চলাচল করতে পারবে না। সিএনজিচালিত অটোরিক্সা, প্রাইভেটকার, লাইটেস এসব যানবাহন চলাচল করতে পারবে।
এ ব্যাপারে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, সিসিক ও এসএমপির ট্রাফিক শাখা মিলে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর ফলে নগরীর সবচেয়ে ব্যস্ততম এই সড়কে যানজট কমবে, নগরবাসী সহজে চলাচল করতে পারবেন। এছাড়া পর্যটকদের আনাগোনা যেহেতু জিন্দাবাজার এলাকায় বেশি, সেহেতু তারাও স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন।
সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী জানান, সড়কটি উভয়মুখী চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করার ফলে এ সড়কে যতো প্রতিবন্ধক (ব্যারিকেড, পুলিশ বক্স প্রভৃতি) আছে, সব সরিয়ে নেয়া হবে। এছাড়া জিন্দাবাজার থেকে কোর্ট পয়েন্ট সড়কে যে কালভার্টের কাজ চলছিল, তাও সম্পন্ন হয়েছে। ফলে সড়ক যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে।
এদিকে, সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে বুধবার রাত ৯টার দিকে সড়ক পরিদর্শনে বের হন সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, এসএমপির উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) ফয়সল মাহমুদসহ সংশ্লিষ্টরা। এ সময় সিসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী শামসুল হক পাটওয়ারী, ইসমাইলুর রহমান, জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহাব উদ্দিন শিহাবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।