কাজিরবাজার ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা যত্রতত্র শিল্পকারখানা স্থাপনের বিষয়ে নিরুৎসাহিত করে বলেছেন, যেখানে-সেখানে শিল্পকারখানা করতে দেয়া হবে না। দেশের প্রয়োজনে আমরা শিল্পায়ন করব। আমরা উন্নত হবো, শিল্পায়নে যাব। কিন্তু কৃষি ও কৃষককে ত্যাগ করে নয়। কৃষিকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের শিল্পায়ন করতে হবে। কারণ কৃষি আমাদের বাঁচিয়ে রাখে। খাদ্য দেয়, পুষ্টি দেয়, সবকিছু করে। তাই আমাদের কৃষি জমি বাঁচাতে হবে। ১৬ কোটি মানুষকে খাওয়াতে হবে। কৃষি জমি নষ্ট করা যাবে না।
বুধবার রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী কৃষক লীগের দশম ত্রিবার্ষিক জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখার দৃঢ় অঙ্গিকার পুনর্ব্যক্ত করে আরও বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, আরও অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। দেশের উন্নয়ন ও অর্জনের ধারাবাহিকতাকে ধরে রাখতে হবে। বিএনপির সময় সারের জন্য গুলি খেয়ে ১৮ জন কৃষককে জীবন দিতে হয়েছে। এখন আর কৃষককে জীবন দিতে হয় না। এখন সার কৃষকের হাতে পৌঁছে যায়।
দেশের এক ইঞ্চি জায়গাও যেন অনাবাদি পড়ে না থাকে সেজন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, কৃষিকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। আমরা ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল করে দিচ্ছি। শিল্পকারখানা করার দরকার হলে সেখানে আমরা প্লট দিয়ে দেব। তিন ফসলি জমিতে কখনই শিল্পকারখানা না। আমাদের কৃষিজমি বাঁচাতে হবে, মানুষকে খাওয়াতে হবে। আর খাদ্য চাহিদা কোনদিন শেষ হয় না। জনসংখ্যা বাড়বে, খাদ্যের চাহিদাও বাড়বে। কাজেই একটি দেশের জন্য, একটি সমাজের জন্য কৃষি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের উন্নয়ন এখনও অনেকাংশে কৃষির ওপর নির্ভরশীল। তাই কৃষি জমি নষ্ট করে কোন স্থাপনা বা শিল্পকারখানা করা যাবে না।
কৃষি যান্ত্রিকীকরণে সরকারের উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার কৃষকবান্ধব সরকার। কৃষকের অধিকার রক্ষা করাই আওয়ামী লীগ সরকারের মূল লক্ষ্য। কৃষকের কল্যাণে আমরা ক্ষমতায় আসার পর নানা পদক্ষেপ নিয়েছি। ফলে কৃষি উৎপাদন বেড়েছে। আজ দেশ খাদ্য উৎপাদনে শুধু স্বয়ংসম্পূর্ণই নয়, উদ্বৃত্তের দেশ। আমাদের কারও কাছে খাদ্যের জন্য হাত পাততে হয় না। তাই ধান কাটা, ধানের চারা রোপণ করা, জমি চাষ- কৃষির সবকিছু যান্ত্রিকীকরণ করার ব্যবস্থা নিয়েছি। তবে তা অবশ্যই কৃষি জমি রক্ষা করে। এ দেশ ফুলে-ফসলে ভরা। আরও সুন্দরভাবে আমরা এদেশকে গড়ে তুলতে চাই।
বেলা ১১টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মেলনস্থলে পৌঁছলে সারাদেশ থেকে আসা কৃষক লীগের কাউন্সিলর ও ডেলিগেটরা স্লোগান দিয়ে তাঁকে স্বাগত জানান। পরে জাতীয় সঙ্গিতের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় পতাকা এবং কৃষক লীগের সভাপতি মোতাহার হোসেন মোল্লা দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী শান্তির প্রতীক পায়রা এবং বেলুন উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।
সম্মেলন সামনে রেখে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সম্মেলন স্থলে ৯০ ফুট দীর্ঘ ও ৩০ ফুট প্রস্থ সেমিপাকা ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। মূলত কৃষকের কাচারি ঘরের আদলেই তৈরি করা হয়েছিল এই মঞ্চ। মঞ্চের পাশে রাখা হয়েছে ‘আমার বাড়ি-আমার খামার’ সেøাগানের একটি মডেল। এতে দেখা যাচ্ছে, কৃষক তার উৎপাদিত ফসল বাজারে বিক্রি করছেন এমন দৃশ্য। রাস্তার চারপাশে লাগানো হয়েছে বাঁশবাগান, ফলদি ও ঔষধি গাছ। প্রধানমন্ত্রী সম্মেলন মঞ্চে ওঠার আগে দৃষ্টিনন্দন এসব মডেল পরিদর্শন করেন।
মঞ্চে উঠার পর প্রধানমন্ত্রীসহ অতিথিদের সম্মেলনের ব্যাজ পরিয়ে দেয়া হয়। এরপর প্রধানমন্ত্রী কৃষক লীগের প্রকাশনা ‘কৃষক কণ্ঠ’-এর মোড়ক উন্মোচন করেন। কৃষিবিদ সমীর চন্দ্রের পরিচালনায় সম্মেলনের শুরুতেই বিশিষ্ট শিল্পী মলয় গাঙ্গুলীর কণ্ঠে ‘যদি রাত পোহালে শোনা যেত, বঙ্গবন্ধু মরে নাই’ গানটি পরিবেশন করা হয়। এরপর কৃষক লীগের দলীয় সঙ্গিত এবং বিশিষ্ট নৃত্যশিল্পীদের পরিবেশনায় গীতিনাট্য পরিবেশন করা হয়।
কৃষক লীগের সভাপতি মোতাহার হোসেন মোল্লার সভাপতিত্বে জাতীয় সম্মেলনে শোক প্রস্তাব পাঠ করেন সংগঠনের দফতর সম্পাদক নাজমুল ইসলাম পানু। এরপর ১৫ আগস্টসহ সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয়। এরপর স্বাগত বক্তব্য রাখেন অভ্যর্থনা উপকমিটির আহ্বায়ক শরীফ আশরাফ আলী। সাংগঠনিক রিপোর্ট পেশ করেন বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট খন্দকার শামসুল হক রেজা। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, ভারতের সর্বভারতীয় কৃষাণ সভার সাধারণ সম্পাদক অতুল কুমার অঞ্জন। সম্মেলনে সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্যবৃন্দ, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনের পর দুপুরে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে নতুন কমিটি নির্বাচন করা হয়।
ভোট দিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো দেশসেবার সুযোগ প্রদানের জন্য দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষ একটি শোক সইতে পারে না। আর আমি বাবা-মা-ভাইসহ সব হারানোর এত শোক বুকে নিয়ে দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছি। জীবনের ওপর যতই ঝুঁকি আসুক, মৃত্যুকে কখনও ভয় করিনি, করিও না। সবাইকে বঙ্গবন্ধু আত্মজীবন পড়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, একটা দেশের জন্য জাতির পিতা কতটা আত্মত্যাগ করে গেছেন। রাজনীতি মানেই দেশের মানুষের ভাগ্যে গড়ে দেয়া, নিজের ভাগ্য গড়া নয়। আমরা দেশের মানুষের ভাগ্য গড়তেই, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়তেই কাজ করে যাচ্ছি।
কৃষির উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সবসময়ই কৃষিকে গুরুত্ব দিই। ভবিষ্যতেও কৃষির উন্নয়নে যা যা করণীয় সবই করা হবে। কৃষকদের যত ধরনের সুবিধার প্রয়োজন হয় তা দেয়া হবে। কৃষিতে ভর্তুকি প্রদানে বিশ্বব্যাংকসহ বিদেশী দাতা সংস্থার বাধা প্রদানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা তাদের (বিশ্বব্যাংক) বলেছি, আপনাদের টাকা লাগবে না, নিজের টাকা দিয়েই কৃষিতে ভর্তুকি দেব। আমরা তাই দিয়েছি। গত ১০ বছরে আমরা ৬৫ হাজার ৫৭১ কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়েছি। কারণ সবকিছুতেই সবসময় লাভ দেখলে হয় না। দেশের মানুষ কিসে উপকৃত হবে সেটা চিন্তা করতে হয়। আমরা সেভাবেই পদক্ষেপ নিয়েছি। আমাদের দেশকে কীভাবে উন্নত করা যায়, আমরা সেভাবেই কাজ করছি।
এ প্রসঙ্গে পড়াশোনা শিখলে কৃষি জমিতে কাজ করতে যেতে অনেকের অনীহার কথা তুলে ধরে সরকারপ্রধান বলেন, আমাদের একটা সমস্যা আছে। আমাদের যারা লেখাপড়া শিখে, লেখাপড়া শিখলেই তারা মাঠে যেতে চায় না। কৃষকের ছেলে, বাবা কৃষিকাজ করে লেখাপড়া শিখিয়েছেন। তাই অবশ্যই সবার মাঠে যাওয়া উচিত। যাবে না কেন? কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য- দুই পাতা পড়লেই মনে করে আমি কেন মাঠে যাব? আমার মনে হয়, এই চিন্তা থেকে সবার দূরে থাকা দরকার। সে কারণে এবার ধান কাটার সময় আমাদের ছাত্রলীগকে বলেছিলাম- ‘তোমরা ধান কাটতে চলে যাও। কৃষকদের পাশে দাঁড়াও। এতে লজ্জার কিছু নেই। নিজের কাজ নিজে করা লজ্জার কিছু থাকে না। নিজে খাদ্য উৎপাদন করব, নিজের খাবার নিজে খাবÑ এখানে লজ্জার কী আছে?’
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, কোন কাজে লজ্জার কিছু নেই, সব কাজ করার মতো ক্ষমতা থাকতে হবে। আমি বলেছি, প্রয়োজনে আমিও যাব। আমি আমার গ্রামে বলে রেখেছি, তোমরা যখন ধান কাটবে বা বীজ রোপণ করবে তখন আমায় বলবে, আমি যাব। আমার এতে কোন লজ্জা নেই। শিক্ষিতদের কৃষিকাজে অনীহা দূর করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই জায়গাটায় আমাদের কৃষক লীগের একটা ভূমিকা থাকা দরকার। আমি মনে করি, আমদের স্কুলজীবন থেকে এটা আমাদের অভ্যাস থাকা দরকার। তিনি বলেন, ছোট বাগান করা, জমি চাষ করা বা সেখানে ফসল উৎপাদন করে নিজের ফসল ঘরে তোলা। এটা তো একটা গর্বের বিষয়। তাই এটাকে এভাবে দেখতে হবে, কৃষিকে মর্যাদা দিতে হবে। মর্যাদা না দিলে নিজের পেটের ভাত আসবে কোথায় থেকে?
বিএনপির আমলে সারের দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে ১৮ জন কৃষক পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা সরকার গঠনের পর প্রথমে কেবিনেটে সারের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নেই। চার দফা সারের দাম কমানো হয়। সারে ভর্তুকি দিয়ে কৃষকের হাতে পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করি। এখন সারের জন্য আর লাইনে দাঁড়াতে হয় না, কৃষকের কাছে এখন সার পৌঁছে যায়।
সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করি। জাতীয় সংসদে যখন আমরা ঘোষণা করি যে, বাংলাদেশ আজ থেকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। সেদিন সংসদে তৎকালীন বিরোধী দলের নেতা খালেদা জিয়া ও তাঁর অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান বলেছিলেন, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া ভাল না। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলে বিদেশ থেকে সাহায্য পাওয়া যাবে না। জবাবে বঙ্গবন্ধুর একটি উদ্বৃতি দিয়ে আমরা বলেছিলাম, ভিক্ষুক জাতির ইজ্জত থাকে না। আমরা ভিক্ষুক হতে চাই না। আমাদের মাটি ও মানুষ আছে। এই মাটি ও মানুষ দিয়েই আমরা দেশকে গড়ে তুলব।
শেখ হাসিনা বলেন, কৃষকদের উন্নয়নে আমরা ব্যাপক কাজ করেছি। গত ১০ বছরে আমরা ৬৫ হাজার ৫৭১ কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়েছি। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে কৃষিতে বাজেট ছিল ৭ হাজার কোটি টাকা। আমরা ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১৪ হাজার ৫৩ কোটি টাকা বাজেট দিয়েছি। এছাড়া ২ কোটি ১৩ লাখ কৃষককে উপকরণ কার্ড দিয়েছি। কৃষকরা মাত্র ১০টায় ব্যাংক এ্যাকাউন্ট খুলতে পেরেছে। আমরা যে প্রণোদনা দিচ্ছি তা তাদের ব্যাংক এ্যাকাউন্টে সরাসরি জমা হয়ে যায়। এছাড়া তারা ওই কার্ড দেখালে সেখান থেকে স্বল্পমূল্যে কৃষি উপকরণ কিনতে পারবে আমরা সেই ব্যবস্থা করে দিয়েছি। কৃষির জন্য বিদ্যুতেও ২০ ভাগ ভর্তুকি দিচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমাদের এক ফোটা জমিও যেন অনাবাদী না থাকে। এমনকি ছাদেও যেন চাষ হয়। যাদের ভিটা মাটি আছে সেই ভিটার পাশে যেন চাষাবাদ হয় সেই লক্ষ্যে আমার বাড়ি, আমার খামার প্রকল্প করে যাচ্ছি। আমরা কৃষকদের জন্য পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক করে দিয়েছি। কৃষকরা সমবায়ের মাধ্যমে যেন তাদের পণ্য বাজারজাত করতে পারে আমরা সেই ব্যবস্থা করে দিয়েছি।
তিনি বলেন, যারা বর্গাচাষী এরা অন্যের জমি চাষ করেন। নিজেদের কোন জমি নেই। তারা ব্যাংক থেকে আগে কোন ঋণ নিতে পারত না। আমি কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে বর্গাচাষীদের জন্য বিনা জামানতে স্বল্পসুদে কৃষিঋণ দিতে শুরু করি। আমরা কৃষিতে ভর্তুকি দিই। আপনারা জানেন ’৯৮ সালে ভয়াবহ বন্যা হয়েছিল। বাংলাদেশের প্রায় ৭০ ভাগ অঞ্চল পানির নিচে ছিল। বিদেশীরা বলেছিল, দুই কোটি মানুষ না খেয়ে মারা যাবে। আমরা বলেছি, একটি মানুষও না খেয়ে মারা যাবে না। আমরা হাতে রুটি বানিয়েছি এবং হেলিকপ্টারে তা বিতরণ করেছে। এছাড়া পানি কমে গেলে এয়ারফোর্সের হেলিকপ্টারের মাধ্যমে বন্যা কবলিত এলাকায় সার ও বীজের চারা পৌঁছে দিয়েছি। যাতে কৃষকরা উৎপাদনে যেতে পারে।