জাহাঙ্গীর আলম খায়ের বিশ্বনাথ থেকে :
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের প্রভাকরপুর গ্রামের আনোয়ার চৌধুরীর পর এবার ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিযুক্ত হলেন সিলেটের মকলবুল আলী (ওবিই)। যুক্তরাজ্যের ব্রাডফোড শহরের বাসিন্দা বাঙালী বংশোদ্ভূত সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা সদরের পার্শ্ববর্তি পশ্চিম চাঁন্দশীরকাপন গ্রামের হাজী মদরিছ আলী ও কামরুননেছা দম্পতির একমাত্র ছেলে। ৫ বোন এক ভাইয়ের মধ্যে মকবুল আলী সর্বকনিষ্ঠ। গত ৩০ অক্টোবর বুধবার তাকে যুক্তরাজ্যের ‘ডোমিনিক্যান রিপাবলিক এন্ড নন-র্যাসিডেন্ট অ্যামবেস্যাডর টু-দি রিপাবলিক অব হাইতি’র ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। মকবুল আলী ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত হওয়া তৃতীয় বাংলাদেশী। তার আগে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত হওয়া অপর বাঙালি বংশোদ্ভূত হলেন আসিফ আনোয়ার আহমদ।
বিষয়টি নিশ্চত করেছেন যুক্তরাজ্যের টাওয়ার হেমলেট্’র স্পিকার ও সিভিক মেয়র বিশ্বাথের ধরারাই (মোল্লাবাড়ির) গ্রামের বাসিন্দা আয়াছ মিয়া। মকবুল আলীকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, গত ৩০ অক্টোবর থেকে মকবুল আলীকে ‘ডোমিনিক্যান রিপাবলিক এন্ড নন-র্যাসিডেন্ট অ্যামবেস্যাডর টু-দি রিপাবলিক অব হাইতি’র ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, চলতি ২০১৯ সালের ২৯ আগষ্ট সে দেশের সরকারি (িি.িমড়া.ঁশ) ওয়েবসাইটে মকবুল আলীর ছবিসহ তাকে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিযুক্ত করার বিষয়টি আপডেট করা হয়েছে। আর আগামি ২০২০ সালের ০১ জানুয়ারি থেকে তিনি রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করবেন বলেও জানান স্পিকার আয়াছ মিয়া।
এদিকে মকবুল আলী ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত হওয়ার খবরে তার গ্রামের বাড়ি চাঁন্দশীর কাপন গ্রামে চলছে আনন্দ উৎসব। বাড়িতে পরিবারের কেউ না থকলেও চাচাতো ভাই ও ভাতিজারা গ্রামে মিষ্টি বিতরণ করেছেন। বাড়িতে থাকা মকবুল আলীর ভাতিজা লুৎফুর রহমান জুয়েলের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, তার চাচা চল্লিশোর্ধ মকবুল আলীর জন্ম যুক্তরাজ্যের ব্রাডফোড শহরে। এ পর্যন্ত দু’বার তিনি দেশে ফিরেছেন। আর সর্বশেষ ২০১৬ সালের প্রথমদিকে দ্বিতীয়বার দেশে এসে দু’সপ্তাহ বাড়িতে অবস্তান করেছিলেন। এসময় তিনি সকল আত্মীয় স্বজনের বাড়ি বাড়ি গিয়ে দেখা করেছেন। জুয়েল জানান, ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত নিযুক্ত হওয়ার আগে তার চাচা মকবুল আলী মধ্যপ্রাচ্যের বাহরাইনে ডেপুটি ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতের দায়িত্বে ছিলেন। এর আগে মিসরের কায়রোতে ব্রিটিশ দূতাবাসেও নিযুক্ত ছিলেন তিনি। লিবিয়াতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্পেশাল এনভয় গ্র“পের চীফ অব স্টাফ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তার চাচা মকবুল আলী। আর যুক্তরাজ্যের সরকারি সেবায় বিশেষ অবদানের জন্য ২০১০ সালে মকবুল আলী ‘অর্ডার অব দ্যা ব্রিটিশ অ্যাম্পায়ার ‘ওবিই’ খেতাবে ভূষিত হয়েছিলেন। সে সময় যুক্তরাজ্যের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ তাকে ‘ওবিই’ খেতাবে ভূষিত করেন।