সুনামগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের বহুল আলোচিত জীবন দাস হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত দুই জনকে গ্রেফতার করেছে সি আই ডি পুলিশের একটি দল। গ্রেফতারকৃতরা হলেন বোয়ালিয়া গ্রামের মৃত সিদ্দেক মিয়ার ছেলে মোঃ ওয়াহিদ মিয়া (৫৫) ও ধাইপুর গ্রামের মোঃ সুজন মিয়ার ছেলে লকোজ মিয়া(৪২)। বুধবার সকাল ১১টায় সুনামগঞ্জ সি আই ডি জোনের ইন্সস্পেক্টর মোঃ আশরাফের নেতৃত্বে সি আই ডি পুলিশের সদস্যরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বোয়ালিয়া বাজারে অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের বিষয়টি মোঃ আশরাফ নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, এই আলোচিত হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ঘটেছিল চলতি বছরের ২৪ মে । ঘটনার দিন সন্ধ্যায় কুলঞ্জ গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে মোঃ রাজন মিয়া জীবন দাসকে তার গ্রামের বাড়ি বোয়ালিয়া বাজার থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর থেকেই জীবন দাস নিখোঁজ হন। ঘটনার পর থেকে তার আত্মীয় স্বজনরা সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজেও তাকে পাননি। ঘটনার ৯ দিন পর গত ২রা জুন বিবিয়ানা নদীতে জীবন দাসের অর্ধগলিত ভাসমান লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন তার স্বজনদের খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ চিহিৃত করেন এবং তাৎক্ষণিক দিরাই থানা পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে দিরাই থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে।
এ ঘটনায় নিহতের বড়ভাই লিটন দাস বাদি হয়ে কুলঞ্জ গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে রাজন মিয়াকে প্রধান আসামীকরে আরো কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা রেখে দিরাই থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। যার মামলা নং ০৪ তারিখ ৪ জুন ২০১৯।
মামলা দায়েরের পর পুলিশ সন্দেহভাজন ভাবে ধাইপুর গ্রামের মনির হোসেনকে গ্রেফতার করে। মনিরকে পুলিশ রিমান্ডে শেষে ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে জীবন দাস হত্যাকান্ডের মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে বোয়ালিয়া গ্রামের মোঃ ওয়াহিদ মিয়া ও ধাইপুর গ্রামের লকোজ মিয়া’র নাম স্বীকার উক্তি দেয়। তারই ধারাবাহিকতায় তাদের গ্রেফতার করা হয়।মামরার প্রধান আসামি রাজন মিয়া হত্যাকান্ডের পর থেকেই আত্মগোপনে আছেন।
পরবর্তীতে বাদিপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলাটি সিআই ডিতে হস্তান্তর করা হয়। আর এরই অংশ হিসেবে সি আই ডির ইন্সস্পেক্টর মোঃ আশরাফের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে হত্যাকান্ডের মূল দুই পরিকল্পনকারীকে বোয়ালিয়া বাজারের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে গ্রেফতার করা হয়।