হবিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
হবিগঞ্জ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন এলাকা গুলোতে প্রতিদিন ৫ ঘন্টা করে লোডশেডিং হবে। যা ইতোমধ্যে কার্যকর করতে শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। আর এতে চরম দুর্ভোগে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন।
ফলে অনেক গ্রাহক চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ এরইমাঝে ফিডারওয়ারী লোডশেডিং এর তালিকা প্রকাশ করেছে।
হবিগঞ্জ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড জানায়, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী হবিগঞ্জ শহর ও শহরতলীর নতুন বাস টার্মিনাল, রামপুর, উমেদনগর, শ্যামলী ও রাজনগর ফিডারওয়ারী এলাকায় প্রতিদিন ৫ ঘন্টা করে লোডশেডিং হবে। তাছাড়া শহরের স্টাফ কোয়ার্টার ও রাজনগর এলাকায় প্রতিদিন ৪ ঘন্টা করে লোডশেডিং হবে।
প্রকাশ করা তালিকায় বলা হয়েছে- নতুন বাস টার্মিনাল এলাকায় দুুপুর ১ টা, সন্ধ্যা ৬ টা, রাত ১০টা, বিকেল ৩ ও সকাল ৮ টায় ১ ঘন্টা করে লোডশেডিং হবে।
রামপুর এলাকায় দুপুর ১টা, সন্ধ্যা ৬ টা, রাত ১০টা, বিকেল ৩টা ও সকাল ১০টা, উমেদনগরে দুপুর ২টা, সন্ধ্যা ৭টা, রাত ১১ টা, বিকেল ৪টা ও সকাল ৯টা, শ্যামলী এলাকায় বিকেল ৩টা, রাত ৮, রাত ১২ টা, ভোর ৫ টা ও সকাল ১০টা, রাজনগর এলাকায় দুপুর ১২টা, বিকেল ৫টা, রাত ৯টা, রাত ২টা ও সকাল ৬টায় ১ ঘন্টা করে প্রতিদিন ৫ ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকবে না।
তবে স্টাফ কোয়ার্টার ও রাজনগর বাইপাস এলাকায় বিকেল ৪টা, রাত ১২টা, সকাল ৬টা, সকাল ১১টায় ১ ঘন্টা করে প্রতিদিন ৪ ঘন্টা লোডশেডিং হবে। তালিকায় আরও বলা হয়েছে, ক’ ফিডারে ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত বিদ্যুতের লোড শেড চলবে।
এদিকে, প্রতিনিয়ত নিয়মঅনুযায়ী এমন লোডশেডিংয়ে দিন দিন অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে সাধারণ গ্রাহকেরা। ভ্যাপসা গরম যেন দূর্ভোগের মাত্রা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। অনেকে আবার এনিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
সেলিম মিয়া নামে এক ব্যক্তি জানান, নিয়ম অনুয়াযী লোডশেডিংতো ভাল কথা। নিয়মের বাইরেও কোর্টস্টেশন এলাকায় ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকে না। কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হলেও তারা তাতে কোন কর্ণাপাত করে না।
সাইফুল ইসলাম জানান, ইদানিং বিদ্যুৎ আমাদের ভোগাচ্ছে। দিনে কয়েকবার বিদ্যুৎ আসা যাওয়া করছে। তাতে করে পরিবার পরিজন নিয়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছি আমরা। বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে বিদ্যুৎ না থাকায় কষ্ট বেশি লাগব হয়।
ব্যবসায়ী ইকবাল আহমেদ জানান, বিদ্যুৎ না থাকলে ব্যবসা বাণিজ্যে চরম ব্যাঘাত ঘটে। তিনি বলেন, এখন সবকিছু ইন্টারনেটে করতে হয়। কিন্তু বিদ্যুৎ না থাকার ফলে সেইসব কাজ করতে বাধাগ্রস্ত হতে হচ্ছে।
হবিগঞ্জ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী চাদনী আক্তার জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী লোডশেডিং হচ্ছে। শুধু হবিগঞ্জ নয় সারা দেশেই এখন এমনটা হচ্ছে। প্রয়োজন অনুযায়ী তালিকা পরিবর্তন করা হতে পারে।
তিনি বলেন, যেহেতু এটা জাতীয় বিষয়, কবে নাগাদ এটা শেষ হবে তা বলা যাচ্ছে না।