মো. শাহজাহান মিয়া জগন্নাথপুর থেকে :
জগন্নাথপুরে এক দিনে ২টি হত্যাকান্ডের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ও আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। এসব ঘটনায় এখনো থানায় কোন মামলা হয়নি। তবে মামলা না হলেও মামলার আসামী হওয়ার আশঙ্কায় জড়িতদের মধ্যে অনেকে বাড়ি ছেড়ে আত্ম গোপনে চলে গেছেন বলে স্থানীয়রা জানান।
জানা যায়, ১৮ অক্টোবর শুক্রবার সন্ধ্যায় স্ট্যান্ড নিয়ে জগন্নাথপুর উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের নোয়াগাঁও-আলমপুর গ্রামে নোয়াগাঁও গ্রামের মজনু মিয়া ও আলমপুর গ্রামের মমরাজ এবং ইজাজ মিয়ার লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ ও বন্দুক যুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এ সময় দুই পক্ষের বন্দুক যুদ্ধের ঘটনায় নিরপরাধ ১২ বছরের শিশু মাদ্রাসা ছাত্র সাব্বির নিহত হয়। সে হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ থানার কামারগাঁও-নগরকান্দি গ্রামের আবদুল কাইয়ূমের ছেলে। সাব্বির তার মামার বাড়ি আলমপুরে থেকে লেখাপড়া করতো।
এদিকে-একই দিনে মামুন হোসেন (২০) নামের এক অটোরিক্সা সিএনজি চালককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। সে হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ থানার মধ্যে সমদ গ্রামের আবদুল মালিকের ছেলে। জগন্নাথপুর উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের খানপুর গ্রামের পাশে একটি খাল থেকে মামুনের লাশ উদ্ধার করেছে জগন্নাথপুর থানা পুলিশ। লাশের মাথা সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহৃ ছিল। দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে মামুনকে কুপিয়ে হত্যা করে লাশটি এখানে ফেলে গেছে বলে স্থানীয়দের ধারণা। খবর পেয়ে জগন্নাথপুর থানা পুলিশ নিহত সাব্বির ও মামুনের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে।
এ ব্যাপারে ১৯ অক্টোবর শনিবার জগন্নাথপুর থানার ওসি (তদন্ত) নব গোপাল দাশ বলেন, এ দুইটি হত্যা কা-ের ঘটনায় থানায় এখনো কোন মামলা হয়নি। দুই পক্ষের লোকজন লাশের ময়না তদন্ত ও দাফন নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। তারা থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে মামলা রুজু হবে। তবে ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে।