হবিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) ও এসআইকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী এবং উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি শাহ সোহান আহমেদ মুছার এক সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত আহমদ হোসেন(১৮) ছালামতপুর এলাকার বুদাই মিয়ার পুত্র। আহমদ পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার এজাহারভুক্ত আসামী।
গত শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে নবীগঞ্জ থানার এসআই সামছুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ছালামতপুর এলাকার একটি মৎস ফিশারী থেকে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতভর পুলিশসহ বিভিন্ন সংস্থা সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে মুছার মা ও ৩ বোনসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন মুসার মা শামছুন্নাহার (৫০), বোন মৌসুমী আক্তার (২৬), শাম্মী আক্তার (২২) ও তন্নী আক্তার (১৯)। গ্রেফতারকৃতরা সরাসরি পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় জড়িত ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। এছাড়াও মুছার বাড়ি থেকে একটি প্রাইভেটকার ও একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।
গত (১৩ সেপ্টেম্বর) শুক্রবার দুপুরে হামলার ঘটনায় এসআই ফিরোজ বাদী হয়ে নবীগঞ্জ থানায় ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো ৭-৮ জনকে আসামি করে পুলিশ অ্যাসল্ট মামলা দায়ের করেন। মামলাটি রেকর্ড হওয়ার পর মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব প্রদান করা হয় এসআই সামছুল ইসলামকে। উক্ত মামরায় শুক্রবার বিকেলে মুছার মা ও ৩ বোনকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকবাল হোসেন বলেন, মুছার সহযোগী ও ঘটনায় সরাসরি জড়িত এজাহার ভুক্ত আসামী আহমদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শীর্ষ সন্ত্রাসী মুছাকে ধরতে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
গত বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ও মাদক মুছাকে ধরতে শহরের সালামতপুর এলাকায় নবীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) উত্তম কুমার দাশ ও এসআই ফখরুজ্জামানসহ একদল পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে। এসময় মুছা তার দলবল নিয়ে দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যান। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। গুরুতর অবস্থায় ওসি উত্তম কুমার দাশকে সিলেটে পাঠানো হয়।