আজ ঢাকায় আসছেন ফিফা সভাপতি ইনফান্তিনো

15

কাজিরবাজার ডেস্ক :
বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা। ১৯০৪ সালে প্রতিষ্ঠিত এই সংস্থাটির অধীনে সদস্য দেশের সংখ্যা ২১০। এত দেশ জাতিসংঘের অধীনেও নেই। ফিফা এমন একটি শক্তিধর ও ক্ষমতাশালী সংস্থা যারা কোন দেশ বা দেশের রাষ্ট্রপ্রধানকেও তোয়াক্কা করে না। তারা যেটা যেভাবে বলবে সেটাই হতে হবে। এর কোন অন্যথা হতে পারবে না। এমনই সংস্থার সর্বোচ্চ পদের ব্যক্তি হচ্ছেন জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। তিনি বাংলাদেশে আসছেন আজ বুধবার দিবাগত রাত ১টা ৫০ মিনিটে এক সংক্ষিপ্ত শুভেচ্ছা সফরে। বাংলাদেশে এ নিয়ে ফিফা সভাপতিদের চতুর্থবার আগমন ঘটছে। ১৯৮০ সালের দিকে জোয়াও হ্যাভেলাঞ্জ এসেছিলেন।
এরপর সেপ ব্ল্যাটার দুই মেয়াদে এসেছিলেন, ২০০৬ এবং ২০১২ সালে। ইনফান্তিনো আসছেন চতুর্থবার ফিফা সভাপতি ও তৃতীয় সভাপতি হিসেবে।
বুধবার রাতে ভ্রমণজনিত কারণে ফিফা সভাপতির কোন কার্যক্রম নেই। রাতে তিনি বিশ্রাম নেবেন। পরদিন বৃহস্পতিবার তার ব্যস্ত সিডিউল। প্রথমেই তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হবেন সকাল সাড়ে ১০টায়। এরপর বেলা সোয়া ১২টায় তিনি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) ভবন পরিদর্শনের পাশাপাশি সেখানে বাফুফে কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি সভায় মিলিত হবেন। এরপর ১২টা ৫০ মিনিটে তিনি বাফুফে ভবন ত্যাগ করবেন। দুপুর ২টা ২০ মিনিটে প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে হাজির থাকবেন তিনি। বিকেল ৩টায় বিমানবন্দরের উদ্দেশে হোটেল ছাড়বেন তিনি। বিকেল ৫টায় তিনি ও তার সফরসঙ্গীরা বিমানযোগে ঢাকা ত্যাগ করবেন।
ফিফা সভাপতির সফরসঙ্গী হিসেবে ফিফার চারজন কর্মকর্তাও ঢাকায় আসবেন। তারা হলেন : মাট্টিয়াস গ্রাফস্টর্ম (ডেপুট সেক্রেটারি জেনারেল), ওনোফ্রে কস্টা (চীফ অব কম্যুনিকেশন্স), সঞ্জিবান বালাসিংগাম (ডিরেক্টর অব মেম্বার এ্যাসোসিয়েশন এশিয়া এ্যান্ড ওশেনিয়া) এবং ফেদেরিকো রাভিগ্লিওনে (প্রেসিডেন্টস অফিস ম্যানেজার)।
ফিফা সভাপতি এখন এশিয়ার বিভিন্ন দেশ সফর করছেন। বুধবার তিনি মঙ্গোলিয়া থেকে বাংলাদেশে আসবেন। ফিফা সভাপতি ওইদিনই দুপুরের পর লাওসের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন।
ফিফা সভাপতির আগমন উপলক্ষে মতিঝিলের বাফুফে ভবন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে তোলা হচ্ছে। ভবনটি সাদা রঙে সাজানো হচ্ছে। নীচতলা থেকে চারতলা পর্যন্ত ঝাড়-মোছ করা হচ্ছে। এমনকি বাফুফে ভবনের বাইরের গলির রাস্তায় যেসব অবৈধ টি-স্টল ছিল সেগুলো উচ্ছেদ করা হয়েছে।