আতিকুর রহমান মাহমুদ,ছাতক থেকে :
সিলেট-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কে যাত্রীবাহী দ্রুতগতির লেগুনা খালের পানিতে পড়ে আহত হাসিনা বেগম (৩৬)র লাশ দাফন সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সাড়ে ১০টায় জানাযার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
জানা যায়, গত পহেলা অক্টোবর সকালে পরিবারের সকল সদস্যদের নিয়ে দক্ষিণ সুনামগঞ্জের ছিকারকান্দি গ্রামে আত্মীয়ের বাড়িতে রোগি দেখতে যান বাউভোগলী গ্রামের মৃত মছলন্দর আলীর পুত্র দিনমজুর মখজ্জুল আলী। সেখান থেকে ওইদিন বিকেলে স্বপরিবারে বাড়ি ফিরছিলেন লেগুনা নং (সিলেট ছ ১১ ২০৭৩) যোগে।
অদক্ষ চালক কর্তৃক দ্রুতগতির লেগুনাটি সিলেট-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের আলাপুর গ্রাম সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছামাত্র গাড়িটি উল্টে পার্শ্ববর্তী খালের পানিতে পড়ে একই পরিবারের ৫জন সহ ১০ব্যাক্তি আহত হয়। স্থানীয়রা লেগুনায় থাকা সকল আহত যাত্রীদের উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী ও স্থানীয় কৈতক হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এসব আহতদের মধ্যে মারা যাওয়া হাসিনা বেগম ও মখজ্জুল আলী এবং তাদের শিশু সন্তানসহ একই পরিবারের ৫ সদস্য গুরুতর আহত হলে তাদেরকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওইদিন রাতেই মারা যান স্বামী মখজ্জুল আলী। দুর্ঘটনার ৮দিন পর বুধবার বেলা ৩টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিলেট ইবনেসিনা হাসপাতালে মুত্যু হয় (স্ত্রী) হাসিনা বেগমের।
মৃত দু’জন তারা স্বামী-স্ত্রী। তাদের বাড়ি ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের বাউভোগলী গ্রামে। দুর্ঘটনায় একই পরিবারের শিশুসহ পাঁচ জন আহতের মধ্যে পিতা-মাতা দু’জন মারা যাওয়ায় শিশু শামসিয়া বেগম (৬), ফেরদৌসী বেগম (৪) ও আমিনুর রহমান (১৮ মাস) অসহায় ও অভিভাবক শূন্য হয়ে পড়েছে।
জয়কলস হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রনু মিয়া বলেন, এ ঘটনায় নিহতের আত্মীয় হাবিজুর রহমান বাদি হয়ে মঙ্গলবার ছাতক থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।