আতিকুর রহমান মাহমুদ ছাতক থেকে :
সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে দ্রুতগামী যাত্রীবাহী লেগুনা খাদে পড়ে আহত হওয়া মখজ্জুল আলী (৪২) নামের যাত্রীর লাশ জানাযার নামাজ শেষে গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণের পর ময়না তদন্ত শেষে বুধবার বিকেলে লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। তিনি ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের বাউভোগলী গ্রামের মৃত মছলন্দর আলীর পুত্র।
গত মঙ্গলবার বিকেলে জাউয়াবাজার থেকে গোবিন্দগঞ্জগামী দ্রুত গতির যাত্রীবাহী লেগুনা সিলেট সুনামগঞ্জ সড়কের বুড়াইরগাঁও এলাকায় পৌঁছা মাত্র সড়কের পার্শ্বের খাদদে পড়ে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
এ সময় মখজ্জুল আলী, তার স্ত্রী হাসিনা বেগম, শিশু পুত্র আমিনুর (৪), কন্যা শান্তিয়া বেগম (৯) ও ফেরদৌসী বেগম (৭)সহ বেশ ক’জন যাত্রী আহত হয়। গুরুতর আহতদের উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও স্থানীয় কৈতক হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওইদিন রাতেই ওসমানী হাসপাতালে মারা যান মখজ্জুল আলী। আশঙ্কাজনক অবস্থায়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন স্ত্রী হাসিনা ও কন্যা শান্তিয়া বেগম।
জানা যায়, জাউয়াবাজার থেকে যাত্রী নিয়ে দ্রুতগতিতে গোবিন্দগঞ্জে যাচ্ছিল লেগুনা (নং সিলেট ছ ১১ ২০৭৩)। লেগুনাটি সিলেট সুনামগঞ্জ সড়কের বুড়াইরগাও এলাকায় পৌঁছামাত্র যাত্রী নিয়ে খাদে পড়ে যায়। এ সময় স্থানীয়রা লেগুনায় থাকা যাত্রীদের উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও কৈতক হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
খবর পেয়ে জয়কলস হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ রনু মিয়ার নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দূর্ঘটনা কবলিত লেগুনাটি আটক করে ফাঁড়িতে নিয়ে আসেন। হাইওয়ে ইনচার্জ রনু মিয়া বলেন, একই পরিবারের আহত পাঁচজন সদস্যদের মধ্যে মারা গেছেন একজন। অন্যান্যদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে বাড়ির লোকজনরা তাদের জানিয়েছেন। দুর্ঘটনায় কবলিত লেগুনাটি আটক করা হলেও ঘটনার পর পর ঘাতক চালক পালিয়ে যায়।
গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউপি মেম্বার সুরেতাজ মিয়া বলেন, ময়না তদন্ত শেষে বুধবার বিকেলে গ্রামের পাঞ্চায়েতি কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়েছে। তবে নিহতের স্ত্রী গুরুতর আহত হাসিনা বেগম ও তার কন্যা শান্তিয়া বেগমের অবস্থা আশঙ্কাজনক। অন্য দু’শিশুর অবস্থা স্বাভাবিক।।