সিলেটে নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করছে, বাড়ছে দুর্ভোগ

14
টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায়। প্রায় শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। উপজেলা সদরের থানা বাজার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয়রা। ছবি- মামুন হোসেন

স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেটে নদ-নদীর পানি সিলেটে কমতে শুরু করেছে। নদীতে ধীর গতিতে পানি কমার কারণে প্লাবিত এলাকাগুলোর পানিও কমছে ধীর গতিতে। এ কারণে সহসাই পানিবন্দি মানুষের দুর্ভোগ কমছেনা। গতকাল সোমবার দুপুরে সুরমার কানাইঘাট পয়েন্টে একমাত্র বিপদসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া সুরমা-কুশিয়ারা-সারীসহ অন্য সব নদ-নদীর পানিই কয়েক সেন্টিমিটার করে কমেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সিলেট কার্যালয় জানিয়েছে, বেলা ১২টা পর্যন্ত সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ৩৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। যেখানে গত রবিবার সন্ধ্যা ৬ টায় বিপদসীমার ৬১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এ পয়েন্টে পানি প্রবাহিত হয়েছিল।
একই নদীর সিলেট পয়েন্টে রবিবার সন্ধ্যায় বিপদসীমার ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রাহিত হলেও গতকাল সোমবার দুপুরে বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়েই পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া কুশিয়ারা নদীর পানির উচ্চতা আমলশিদ, শেওলা পয়েন্টে পানি কয়েক সেন্টিমিটার কমলেও শেরপুর এবং ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে কয়েক সেন্টিমিটার বেড়েছে। পানি কমেছে সারি, লোভাছড়া এবং ধলাই নদেরও। পানি কমতে থাকলে বন্যা পারিস্থতি উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে পানিবন্দি জনসাধারণের মধ্যে বিশুদ্ধ পানির অভাব তীব্র আকার ধারণ করেছে। গো খাদ্য সংকটও দেখা দিয়েছে। এছাড়া শুকনো খাবার না থাকায় ত্রাণের অপেক্ষায় রয়েছেন দুর্গত এলাকার মানুষ। তবে প্রশাসন ও বেসরকারি সংগঠনের উদ্যোগে বিভিন্ন স্থানে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুর পর্যন্ত সিলেটে বৃষ্টিপাত হয়নি। এমন অবস্থা বিদ্যমান থাকলে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।