ক্রীড়াঙ্গন রিপোর্ট :
২০০৬-০৭ মৌসুমের পর এবারই প্রথম প্রিমিয়ার লিগে জায়গা করে নিয়েছে শেফিল্ড ইউনাইটেড। গত মৌসুমে চ্যাম্পিয়নশিপ জিতে ব্লেডরা যোগ্যতা অর্জন করে ইংলিশদের শীর্ষ লিগে খেলার। প্রিমিয়ার লিগে উঠে এসেই শেফিল্ড প্রায় ভয় ধরিয়ে দিয়েছিল লিভারপুলকে।
মনে করিয়ে দিয়েছিল ২০০৬-০৭ মৌসুমের কথা। সেবারও শেফিল্ডের মাঠ ব্রামল লেনে গিয়ে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে ফিরতে হয়েছিল অল রেডসদের। এবারও তেমন এক ড্র চোখ রাঙাচ্ছিল। কিন্তু চ্যাম্পিয়নস লিগজয়ী লিভারপুলকে প্রথমার্ধ পযর্ন্ত রুখে দিতে পারলেও বিরতির পর নিজেদের গোলপোস্ট আর অক্ষত রাখতে পারেনি শেফিল্ড।
অবশ্য শেফিল্ড গোল হজম করেছে নিজেদের ভুলে। ৭০ মিনিটে বদলি খেলোয়াড় জিওর্জিনো ভাইনালডামের নিচু শট রুখতে পারেননি স্বাগতিক গোলরক্ষক ডিন হ্যান্ডারসন। শেষ পযর্ন্ত ১-০ ব্যবধান ধরে রেখে তিন পয়েন্ট আদায় করে নেয় ইয়ুর্গেন ক্লপের শিষ্যরা।
শেফিল্ডের সার্থকতা বলতে মোহাম্মদ সালাহ-রবার্তো ফিরমিনো-সাদিও মানেকে নিয়ে গড়া বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক আক্রমণভাগকে ঠাঁসা রক্ষণ দিয়ে গোল বঞ্চিত রাখতে পারা। পুরো ম্যাচে আক্রমণের ঢেউ তুলেও অল রেডদের বারবার ব্যর্থ হতে হয়েছে শেফিল্ডের রক্ষণের সামনে।
এই জয়ে শীর্ষস্থান অটুট রেখেছে লিভারপুল। টানা ৭ ম্যাচে জয় পাওয়া ক্লপের দলের পয়েন্ট ২১।