কাজিরবাজার ডেস্ক :
টিকিট কেলেঙ্কারি দায় থেকে রেহাই পেতে ঢাকায় সেলস অফিস বন্ধ ঘোষণা করেছে কাতার এয়ারওয়েজ। বিক্ষুব্ধ যাত্রী সাধারণের তোপের মুখে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই তাদের অফিসের ম্যানুয়াল কার্যক্রম বন্ধ রাখতে দেখা যায়। এদিকে এভিয়েশন বিশেষজ্ঞদের অভিযোগ, যাত্রীদের সঙ্গে প্রতারণা নতুন কৌশল হিসেবে তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন তারা জনরোষ এড়াতে অনলাইনে মাধ্যমে সব ধরনের কার্যক্রম শুরু করেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, তেজগাঁওয়ের অফিসে টিকিট প্রত্যাশী প্রবাসীদের অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে অফিসটি সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বুকিং সংক্রান্ত তথ্যের জন্য যাত্রীদের ফোনে বা ই-মেইলে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে কাতার এয়ারওয়েজ বলছে, করোনাকালীন সামাজিক দূরত্ব নীতি মেনে না চলায় অফিস বন্ধ করা হয়েছে। বুধবার কাতার এয়ারওয়েজের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। গত ১৬ জুন থেকে কাতার এয়ারওয়েজ প্রতি সপ্তাহে তিনটি ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি পেয়েছে। এ জন্য তারা বিভিন্ন গন্তব্যে টিকিট বিক্রি শুরু করে। টিকিটের প্রচুর চাহিদা থাকায় বাংলাদেশ অফিসে যাত্রীরা ভিড় করেন। তারা সামাজিক দূরত্ব নীতি পালনে ব্যর্থ হয়। তাই গ্রাহক ও কর্মচারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাময়িকভাবে অফিস বন্ধ করা হলো। সবার কাছে অনুরোধ বুকিং সংক্রান্ত তথ্যের জন্য ফোন বা ই-মেইলে যোগাযোগ করুন। ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়-বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশনের নির্দেশনা অনুযায়ী সামাজিক দূরত্ব নীতি নিশ্চিত করতে প্রতিটি ফ্লাইটে ২৫ শতাংশ আসন খালি থাকবে। বিস্তারিত তথ্যের জন্য যাত্রীদের +৯৭৪ ৪০২২ ২২০০ নম্বর অথবা ই-মেইলে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। কাতারে এয়ারওয়েজের তেজগাঁওয়ের অফিসে টিকিট প্রত্যাশী প্রবাসীদের অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে অফিসটি সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বুকিং সংক্রান্ত তথ্যের জন্য যাত্রীদের ফোনে বা ই-মেইলে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে হাসান নামের এক যাত্রীর অভিযোগ, মূলত বুধবার থেকেই কাতার অফিসে ভিড় না জমানোর মৌখিকভাবে বলা হতে থাকে। বিকেলে সামাজিক দূরত্বের দোহাই দিয়ে অফিসটি বন্ধ ঘোষণা দেয়া হয়। জানতে চাইলে এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ আশীষ রায় চৌধুরী বলেন, এটা কাতার এয়ারের নতুন কৌশল। যেভাবে গণরোষ দেখা দিয়েছে, তা থেকে রেহাই পেতে আপাতত তাদের সব ধরনের বাণিজ্যিক কার্যক্রম আপাতত অনলাইনে চালানো হচ্ছে। এতে সাধারণ যাত্রীরা কোন ধরনের প্রতিক্রিয়া জানানোর সুযোগ পাবে না। ক’দিন পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার অফিস খুলে দেয়া হবে।
এ বিষয়ে কাতার এয়ারের কার্গো শাখার স্থানীয় প্রতিনিধি গ্যালাক্সি এভিয়েশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ ইউসুফ ওয়ালিদ বলেন, যেভাবে লোকজন ভিড় জমাচ্ছে অহেতুক, তাতে বন্ধ না করে উপায় কি। এক সঙ্গে ৫০ জন এসে জোর করে অফিসে ঢুকে যায়, এটা কি কারোর জন্য নিরাপদ এই কোভিড মহামারীর যুগে?