কাজিরবাজার ডেস্ক :
স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার হওয়ায় পুন:নির্ধারিত সিলেট-৩ আসনের উপ-নির্বাচনের প্রার্থীদের এবার প্রচারের জন্য সময় দেওয়া হয়েছে মাত্র ২৪ ঘণ্টা। এক্ষেত্রে ১ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টা থেকে ২ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টা পর্যন্ত প্রচার চালাতে পারবেন প্রার্থী ও তার সমর্থকরা।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি)-সচিব মো. আতিয়ার রহমান বুধবার (২৫ আগষ্ট) এ সংক্রান্ত নির্দেশনা রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বরত সিলেটের জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠিয়েছেন।
তিনি বলেন, ভোটগ্রহণ শুরু হবে ৪ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টায়। আইনানুযায়ী, সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরুর ৪৮ঘণ্টা আগে সব ধরনের প্রচার শেষ করতে হয়। তাই ২ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টার পর আর প্রচার চালানো যাবে না। বারবার ভোট পিছিয়ে যাওয়ায় এ নির্বাচনের প্রার্থীরা প্রচারণার জন্য অনেক সময় পেয়েছেন। তাই ২৪ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়েছে শেষ মুহূর্তে মাঠ গুছিয়ে নেওয়ার জন্য।
রিটার্নিং কর্মকর্তারা কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, রিট পিটিশন নং- ৮১ (এ-১৭)/২০২১-এর ৫ আগষ্ট ২০২১ তারিখে প্রদত্ত হাইকোর্টের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ইসি জাতীয় সংসদের ২৩১ (সিলেট-৩) শূন্য আসনের নির্বাচন যে পর্যায় থেকে স্থগিত করা হয়েছিল, সে পর্যায় থেকে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। এ লক্ষ্যে সিলেট-৩ শূন্য আসনে ৪ সেপ্টেম্বর শনিবার ভোট গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণের জন্য ইসি নির্দেশ দিয়েছেন।
এছাড়া ইসি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ১ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টার আগে এবং ২ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টার পর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা তার পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি অথবা সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দল যাতে নির্বাচনী প্রচার করতে পারবে না। সেসঙ্গে নির্বাচনী প্রচার ও এ সংক্রান্ত সব কার্যক্রমে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করে ইতোপূর্বের নির্দেশনার আলোকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিবুর রহমান, জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, বাংলাদেশ কংগ্রেসের জুনায়েদ মোহাম্মদ মিয়া এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী শফি আহমেদ চৌধুরী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সিলেট-৩ আসটি ফেঞ্চুগঞ্জ, বালাগঞ্জ ও দক্ষিণ সুরমা নিয়ে গঠিত। ভোটার সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৩ লাখ।
এ আসনের সাবেক এমপি মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী গত ১১ মার্চ মারা যান। পরবর্তীতে জাতীয় সংসদ সচিবালয় আসনটি শূন্য ঘোষণা করলে ভোট গ্রহণের জন্য ১৪ জুলাই তারিখ নির্ধারণ করে ইসি। কিন্তু ওইদিন জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদের মৃত্যুবার্ষিকী হওয়ায় দলটি ভোট পেছানোর দাবি করে। সেই দাবি আমলে নিয়ে পরবর্তীতে ২৮ জুলাই ভোট গ্রহণের তারিখ পুন:নির্ধারণ করে ইসি। কিন্তু একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত ৫ আগষ্ট পর্যন্ত ভোটের ওপর স্থগিতাদেশ দেন এবং ৭ আগষ্টের মধ্যে ভোট করার নির্দেশনাও দেন। সেই নির্দেশনার আলোকে কমিশন ২৩ আগষ্ট ভোটের নতুন তারিখ দেন আগামী ৪ সেপ্টেম্বর।