স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেটের ১১ উপজেলার ৪৫৬টি মন্ডপে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এসব মন্ডপে আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় পোষাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোষাকের পুলিশের নজরদারিও থাকবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা-২০১৯ উদযাপন উপলক্ষে সিলেট জেলা পুলিশের আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বিষয়ক মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম। সিলেট জেলা পুলিশ লাইন্সের বীরমুক্তিযোদ্ধা শহীদ এসপি এম. শামসুল হক মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলামের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় আইন শৃংখলা সংক্রান্ত বিষয়ে সকল থানা থেকে আগত পূজা উদ্যাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ ও উপস্থিত সকলের মতামত গ্রহণ করা হয়।
এ সময় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন জানান, সিলেটে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করে নিজ নিজ ধর্ম সুষ্ঠুভাবে পালনে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বদা সর্তক রয়েছে। শান্তিপূর্ণভাবে পুজা উদ্যাপন উপলক্ষে আইন শৃঙ্খলা রক্ষা ও পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য পোষাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোষাকে পুলিশের নজরদারি বৃদ্ধি করা হবে।
তিনি সিলেট জেলাধীন সকল সার্কেল ও থানার অফিসার ইনচার্জগণকে পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালনসহ যেকোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় সর্তক থাকার নির্দেশ প্রদান করেন। একই সাথে পূজা উদ্যাপন কমিটির নেতৃবৃন্দকে তাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বিভিন্ন কমিটির মাধ্যমে জরুরী মুহূর্তে জেনারেটর রাখা, স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী গঠন, নারী-পুরুষ আলাদা লাইনে প্রবেশ ও বাহিরের ব্যবস্থা করা, ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখতে আযান ও নামাযের সময় মাইক বন্ধ রাখা, সম্ভব হলে সিসিটিভি স্থাপন করা, প্রতিটি মন্ডপে আগুন নিয়ন্ত্রক সিলিন্ডার রাখাসহ বিভিন্ন দিক নিদের্শনাও প্রদান করেন।
সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা পূজা উদ্যাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক রঞ্জন ঘোষ। সভায় সিলেট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) ইমাম মোহাম্মদ শাদিদ, জকিগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায়সহ সিলেট জেলার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সকল থানার অফিসার ইনচার্জগণ, বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা ও সিলেট জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি বিরাজ মাধব চক্রবর্তী মানস, মহানগর পূজা উদ্যাপন কমিটির প্রধান উপদেষ্টা এডভোকেট প্রদীপ কুমার ভট্টাচার্য্য, সভাপতি সুব্রত কুমার দেব, বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অধ্যাপক রজত কান্তি ভট্টাচার্য্য প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।