কে.এম.লিমন গোয়াইনঘাট থেকে :
বাংলাদেশ ও ভারতের অভিন্ন সীমান্ত সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের রাজধানী শিলংয়ে বাংলাদেশের ডেপুটি কমিশনার (ডিসি) ও ভারতের ডিষ্ট্রিক্ট ম্যাজিষ্ট্রেট (ডিএম) ক্লাষ্টার-৯ এর দ্বিপক্ষীয় সম্মেলন শেষে দেশে ফিরলেন সরকারি কর্মকর্তারা।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় তামাবিল ইমিগ্রেশন দিয়ে বাংলাদেশে ফিরে প্রতিনিধি দলের নেতা জামালপুরের জেলা প্রশাসক আহমেদ কবির সাংবাদিকদের বলেন, অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় সম্মলনে সীমান্ত এলাকায় অপরাধ প্রবনতা বন্ধ করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা, মাদক ও চোরাচালান রোধসহ সীমান্তে মানুষ হত্যা বন্ধ করা, সীমান্ত পিলার নির্মাণের পাশাপাশি তামাবিল স্থলবন্দরের জিরো পয়েন্টে কালভার্টের প্রশস্তকরণের বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এ ছাড়াও শিলং এর তীর নামক জুয়া খেলার ভয়াবহতা নিয়েও সম্মেলনে আলোচনা হয়। একই সাথে কলমাকান্দা উপজেলার রামনাথপুরে স্থল বন্দর নির্মাণসহ সম্ভাবনাময় সীমান্ত এলাকায় বেশ কয়েকটি স্থলবন্দর, শুল্ক ষ্টেশন ও বর্ডার হাট প্রতিষ্ঠা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়াও বিদ্যমান বর্ডার হাটগুলোকে আরো সক্রিয় করা এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার হবে এবং সীমান্তে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে দুই পক্ষই একসাথে কাজ করার প্রয়াস ব্যক্ত করেছেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ ও ভারতের অভিন্ন সীমান্ত সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের রাজধানী শিলংয়ে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বাংলাদেশের পক্ষে জামালপুরের জেলা প্রশাসক আহমেদ কবিরের নেতৃত্বে অংশ নেন সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, জামালপুর, কুড়িগ্রাম, ময়মনসিংহ ও শেরপুরের জেলা প্রশাসক, পুলিশ, বিজিবি, পানি উন্নয়ন বোর্ড, কাষ্টমস ও নারকোটিক্স বিভাগের ৫২ জন কর্মকর্তা।
ভারতের পক্ষে মেঘালয় রাজ্যের ইষ্ট খাসি হিলস’র জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট (ডিএম) এম ওয়ার নংব্রির নেতৃত্বে ৭ টি জেলার জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট, পুলিশ সুপার, কাষ্টমস, ভূমি জরিপ, বিএসএফসহ ৩১ জন প্রতিনিধি অংশ নেন।
দুই দেশের অভিন্ন সীমান্ত সমস্যা নিয়ে ডিসি-ডিএম সম্মলনে যোগ দিতে গত সোমবার সাত জেলার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ সরকারের ৫২ সদস্যের এক প্রতিনিধি সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার তামাবিল ইমিগ্রেশন দিয়ে ভারতের শিলংয়ে যান।