কাজিরবাজার ডেস্ক :
শিক্ষার গুণগত উন্নয়নের অংশ হিসেবে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধারাবাহিক মূল্যায়নের কার্যকারিতা যাচাইয়ে পাইলট কর্মসূচি হাতে নিয়েছে সরকার। ৮ জেলার ১৬ উপজেলার ৬৪টি বিদ্যালয়ে তিন মাসের এ কর্মসূচি শুরু হবে আগামী ৩১ আগষ্ট।
শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য এবং চারু ও কারুকলা এ দুটি বিষয়ে পরীক্ষা না নিয়ে ধারাবাহিক মূল্যায়ন ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে আগেই। বিষয় দুটির ধারবাহিক মূল্যায়নের কার্যকারিতা যাচাইয়ে এ উদ্যোগ নিলো মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)।
মাউশির পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান বলেন, ‘মুখস্ত বিদ্যার মাধ্যমে গুণগত শিক্ষায় যাওয়া সম্ভব নয়। জিপিএ-৫ আর পরীক্ষায় ভালো ফল দিয়েও সম্ভব নয়। তাই ধারাবাহিক মূল্যায়নে যেতে হবে। শিক্ষার্থীদের ওপর চাপ কমাতে হবে। সে কারণে ধারাবাহিক মূল্যায়নে যেতে হচ্ছে।’
তবে ধারাবাহিক মূল্যায়নের ব্যাপারে অভিযোগ থাকার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, এসব কারণে ৩ মাসের জন্য পাইলটিং করা হচ্ছে। যদি ধারাবাহিক মূল্যায়ন ঠিক থাকে, তখন আরও কিছু ভাবার সুযোগ তৈরি হবে। স্কুলগুলোতে যদি ধারাবাহিক মূল্যায়ন করা না হয়, তারও একটা সমাধান হবে।
মাউশি সূত্রে জানায়, পাইলট কর্মসূচি সুষ্ঠু পরিচালনায় একটি ম্যানুয়াল তৈরি করা হয়েছে। এই কর্মসূচি বাংলাদেশ পরীক্ষা উন্নয়ন ইউনিট, সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইনভেষ্টমেন্ট প্রোগ্রাম (সেসিপ) ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে।
সূত্রমতে, কর্মসূচির আওতায় প্রতিটি বিদ্যালয়ে শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ে ২০ থেকে ২১টি ক্লাস নিতে হবে। প্রতিটি ক্লাসের সময় হবে ৫০ মিনিট। দ্বিতীয় শিফটের বিদ্যালয় হলে দ্বিতীয় শিফটেও এ কার্যক্রম চলবে। ষষ্ঠ শ্রেণিতে একটি সেকশন থাকলে ৩টি ক্লাস এবং ২টি সেকশন হলে ৬টি ক্লাস নিতে হবে। সরবরাহ করা ক্লাস সিডিউল অনুযায়ী ক্লাস পরিচালনা করতে হবে অথবা সুবিধা অনুযায়ী রুটিন পরিমার্জন করে ক্লাস নিতে হবে। বিদ্যালয়ে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক না থাকলে ওই বিষয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক দিয়ে এ কার্যক্রম চালানো হবে।
কর্মসূচি বাস্তবায়ন হচ্ছে কিনা, তা উপজেলার অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজার, সহকারী পরিদর্শক, ও গবেষণা কর্মকর্তারা নিশ্চিত করবেন। কর্মসূচি পরিচালনায় প্রয়োজনে বাংলাদেশ পরীক্ষা উন্নয়ন ইউনিট, সেসিপ ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সঙ্গে সুপারভাইজার ও সংশ্লিষ্টরা যোগাযোগ করবেন।
যে ৮ জেলায় কর্মসূচি চলবে : দেশের ৮ জেলার দুটি করে উপজেলায় মোট ৬৪টি বিদ্যালয়ে এ কর্মসূটি চলবে। এর মধ্যে রয়েছে খাগড়াছড়ি জেলার সদর ও দীঘিনালা উপজেলা, চাঁদপুরের সদর ও হাইমচর, সুনামগঞ্জের সদর ও দক্ষিণ সুনামগঞ্জ, চট্টগ্রামের কোতোয়ালী ও রাউজান, ঢাকা মহানগরের খিলগাঁও ও লালবাগ, পঞ্চগড়ের সদর ও আটোয়ারি, সাতক্ষীরার সদর ও তালা এবং বরিশাল জেলার সদর ও বাবুগঞ্জ উপজেলা।