জৈন্তাপুরে ধর্ষণ মামলার আসামী আটক

15

জৈন্তাপুর থেকে সংবাদদাতা :
জৈন্তাপুরে অভিনব কায়দায় ধর্ষণ মামলার আসামীকে গ্রেফতার করছে জৈন্তাপুর থানা পুলিশ। ধর্ষক উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের শুকইনপুর গ্রামের আহমদ আলীর পুত্র ধর্ষক রেজওয়ান মিয়া (২৫) জনিকট আত্মীয় ভাতীজিকে অপহরণ করে নিয়ে দূরবর্তী গ্রামের এক সিএনজি চালকের বাড়ীতে আটকে রেখে একাধিক বার ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় সামাজিক ভাবে ধর্ষিতার পিতা বিচার চাইলে ন্যায় বিচার পাননি। অপরদিকে ধর্ষণের ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে এবং ধর্ষণের আলামত নষ্ট করতে বিচারের নামে স্থানীয় ইউপি সদস্য সময় ক্ষেপণ করেন।
অবশেষে ন্যায় বিচার না পেয়ে ভিকটিম বাদী হয়ে ঘটনার ২মাস পর গত ১৭ জুলাই জৈন্তাপুর মডেল থানায় ধর্ষক রেজওয়ানকে প্রধান আসামী করে লিখিত অভিযোগ করে। পুলিশ ঘটনাটি সরেজমিন তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পায় এবং ধর্ষক রেজওয়ান ইতোপূর্বে এধরনের একাধিক ঘটনা করে কারাভোগ করেছে বলে তথ্য বেরিয়ে আসে। কারাভোগ করে বের হওয়ার কিছু দিনের মধ্যে সে নতুন করে নিকত্মীয় ভাতীজিকে অপহরন করে ধর্ষণ ঘটনা ঘটায়। থানা পুলিশ ১৮ জুলাই বৃহস্পতিবার ভিটটিমের লিখিত অভিযোগটি মামলা হিসাবে গন্য করে যার নং ৮/১০৪। মামলার প্রকৃতরহস্য অনুসন্ধান ও ধর্ষক রেজওয়ানকে আটকের জন্য পুলিশের একাধিক টিম উপজেলা বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে। অবশেষে পুলিশ আসামী গ্রেফতার করেত ছন্দবেশ ধারণ করে বিভিন্ন স্থানে ঘুরাঘুরি করতে থাকে। একপর্যায় জৈন্তাপুর মডেল থানার পুলিশ এস.আই আজিজুর রহমান হুজুরের বেশ ধারন কওে গতকাল শনিবার ১৭ আগষ্ট দুপুর ৩ টায় উপজেলার ফতেপুর (হরিপুর) ইউনিয়নের বালিপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ধর্ষক রেজওয়ান মিয়া কে আটক করে জৈন্তাপুর মডেল থানায় নিয়ে আসে।
জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ্যামল বণিক জানান, ধর্ষক রেজওয়ান ইতোপূর্বে এ ধরনের ঘটনা করে কারা বরণ করেছে। কারাবরণ করে বের হয়েই সে আবার এই ধর্ষণের ঘটনাটি করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ধর্ষনের ঘটনা স্বীকার করে। আজ রবিবার তাকে আদালতে প্রেরণ করব এবং রিমান্ডের জন্য আবেদন করা হবে বলে জানান তিনি।