কাজিরবাজার ডেস্ক :
ডেঙ্গু জ্বরের জন্য দায়ী এডিস মশার বংশ বিস্তার রোধে ঈদের ১২ দিনের ছুটির মধ্যে আগামী ১২ ও ১৩ আগষ্ট ছাড়া প্রতিদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অফিস খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ সোহরাব হোসেন স্বাক্ষরিত পরিপত্রে বুধবার এ নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারিকৃত পরিপত্রে বলা হয়, চলমান ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষসমূহ সকল প্রকার কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। এর ধারাবাহিকতায় দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ ডেঙ্গু প্রতিরোধের জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে সরকারী ছুটির সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ১২ দিন (৮-১৯ আগষ্ট) বন্ধ থাকবে। স্বভাবতই এ সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে শিক্ষক-কর্মচারীগণ উপস্থিত থাকবেন না।
বলা হয়, এ সময় খেলার মাঠ, ফুলের টব, পানি জমে এমন যে কোন পাত্রে এডিস মশার প্রজনন প্রক্রিয়া আরও বেগবান হয়ে উঠতে পারে। এতে সরকার গৃহীত প্রতিরোধ কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এমতাবস্থায় ঈদের ছুটির সময় একজন শিক্ষকের নেতৃত্বে কর্মচারী, স্কাউট, বিএনসিসি এবং শিক্ষার্থী সমন্বয়ে ৬ থেকে ১০ জনের টিম গঠন করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং এর আশপাশে যেসব জায়গায় স্বচ্ছ পানি জমার সম্ভাবনা থাকে (যেমন- ফুলের টব, পানির ট্যাপের আশপাশের এলাকা, পানির পাম্প, ফ্রিজ-এসির পানি জমার ট্রে, বাথরুমের পানির বালতি ইত্যাদি) সেসব জায়গা চিহ্নিত করে একদিন অন্তর পরিষ্কার করতে হবে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, বাথরুমের বদনা এবং বালতি শূন্য করে উল্টিয়ে রাখতে হবে। হাই কমোড হারপিক ঢেলে ঢাকনা বন্ধ রাখতে হবে। বাথরুমের প্যানে হারপিক ঢেলে বস্তা ও অন্য কিছু দিয়ে মুখ বন্ধ রাখতে হবে। কোন জায়গায় জমাটবদ্ধ পানি থাকলে লার্ভিসাইড স্প্রে করতে হবে অথবা জমাটবদ্ধ পানি নিষ্কাশন করতে হবে। বলা হয়, আগামী ১২-১৩ আগষ্ট ব্যতীত প্রত্যহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অফিস খোলা রাখতে হবে। রোষ্টার ডিউটির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। ডেঙ্গু প্রতিরোধ কার্যক্রমে সিটি কর্পোরেশন বা পৌরসভার এ সংক্রান্ত টিমে নিযুক্ত শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কেউ ঈদের ছুটিতে গেলে তাদের স্থলে উপযুক্ত শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।