বিশ্বনাথে স্কুলছাত্রীকে বেঁধে অটোরিক্সায় তুলে ধর্ষণের চেষ্টা

65

জাহাঙ্গীর আলম খায়ের বিশ্বনাথ থেকে :
বিশ্বনাথে এবার ১৭ বছর বয়সী দোহালের আরও এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। সে উপজেলা সদরের হাজী মফিজ আলী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের দশম শ্রেণীর ছাত্রী। এ ঘটনায় গতকাল বুধবার বিকেলে স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে মেয়ের ওপর যৌন নিপীড়নকারীদের বিরুদ্ধে বিশ্বনাথ থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। আগেরদিন মঙ্গলবার বিকেলে বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে রামধানা এলাকায় গেলে ওই ছাত্রীর ওপর নির্যাতন চালায় স্থানীয় বখাটেরা। স্কুলছাত্রী ও তার পরিবারের অভিযোগ, প্রেমে সাড়া না দেওয়ায় সিএনজি চালিত অটোরিক্সা চালক রাজন মিয়া (২৫) তার আর ৪সহযোগীকে নিয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। বখাটে অটোরিক্সা চালক রামধানার পার্শ্ববর্তি শেখের গাঁওয়ের আব্দুল খালিকের ছেলে।
এর আগে গত ২৪ জুন সোমবার আশুগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের এসএসসি উত্তীর্ণ তেঘরীর এক ছাত্রী টিসি নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়। এরপর ২৬ জুন বুধবার মুফতির গাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেনীর আরও এক ছাত্রী অটোরিকশা চালকের লালসার শিকার হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার বিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার পথে বিশ্বনাথ-খাজাঞ্চী রোডের রামধানায় গেলে আগে থেকে ওৎপেতে থাকা রাজন স্কুলছাত্রীর গতি রোধ করে। মেয়েটি অন্য পথে যেতে চাইলে রাজন তার সহযোগীদের নিয়ে স্কুলছাত্রীর ওপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে গলা থেকে ওড়না খোলে ওই ছাত্রীর হাত-পা বেঁধে জোরপূর্বক টেনে হেঁচড়ে অটোরিক্সায় তুলে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এ সময় তার চিৎকারে রামধানা গ্রামের লোকজন জড়ো হলে বখাটেরা অটোরিক্সা নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়দের সহযোগীতায় পরিবারের সদস্যরা ওই ছাত্রীকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্যে ভর্তি করেন।
স্কুলছাত্রীর মা জানান, থানায় লিখিত অভিযোগপত্রে রাজনকে প্রধান আসামি করা হযেছে। রাজনের সহযোগী একই গ্রামের ইমনের নাম উল্লেখসহ আরও ৩জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করেছেন তিনি।
অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে থানার ওসি শামসুদ্দোহা ও ওসি তদন্ত দুলাল আকন্দ এ প্রতিবেদককে বলেন, মামলা রুজ্জুসহ দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।