বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ বলেন, আমৃত্যু সংগ্রামী এক জননীর নাম জাহানারা ইমাম। শহীদ জননী জাহারা ইমাম মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক শক্তি সমূহকে ঐক্যবদ্ধ করে যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন এবং একই সাথে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা তখন যে ভূমিকা নিয়েছিলেন তারই ফলশ্র“তিতে আজকের বাংলাদেশ।
তিনি ২৬ জুন সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে একাত্তরের ঘাতক নির্মূল কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি প্রয়াত জাহানারা ইমাম এর ২৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
একাত্তরের ঘাতক নির্মূল কমিটির সিলেটের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা সুব্রত চক্রবর্তী জুয়েলের সভাপতিত্বে মুখ্য আলোচকের বক্তব্যে একাত্তরের ঘাতক নির্মূল কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী মুকুল বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা-বিরোধী যে রাজনৈতিক সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার প্রয়াস পেয়েছিল, সে ধারা থেকে প্রকৃত মুক্তিযুদ্ধের চেতনার রাজনীতিতে ফিরিয়ে এনেছিলেন শহীদ জননী জাহানারা ইমাম সূচীত একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নাগরিক আন্দোলন। এ কারনেই বাংলাদেশের ইতিহাসে জাহানারা ইমাম চিরদিন স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
সিলেট জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সিনিয়র সহ সভাপতি আব্দুল কাদিরের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, সিলেট জেলা সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক ধীরেন সিংহ, মহানগর আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাংগঠনিক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা চিত্তরঞ্জন দেব, সাম্যবাদী দল নেতা ব্রজ গোপাল চৌধুরী, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সিলেট জেলা ইউনিটের সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সুবেদার মেজর রফিক উদ্দিন আহমেদ, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর এডভোকেট বেগম সুলতানা জামান, জেলা যুব কমান্ডের আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা পান্না লাল রায়, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি সিলেটের সদস্য সচিব ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আকরাম আলী, সিলেট জেলা শাখার সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক গৌতম চক্রবর্তী প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি