কাজিরবাজার ডেস্ক :
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। রাখা হয়েছে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটের (আইসিইউ) ক্রিটিকেল কেয়ার সেন্টারে। বুধবার সকালে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
জাতীয় পার্টি সূত্রে জানা যায়, ২৫ জুন মঙ্গলবার রাত আড়াইটার দিকে তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ অনুভব করেন। এ সময় তার পাশে আপনজন কেউ ছিলেন না। সেবার জন্য নিয়োজিত কয়েকজন ব্যক্তিগত সহকারীসহ গৃহকর্মীরা তার পাশেই ছিলেন।
সকালে অবস্থার অবনতি হলে সিএমএইচে নেয়া হয়। সেখানে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে সাবেক এই রাষ্ট্রপতিকে। এরশাদের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা জানান, স্যারের অবস্থা সঙ্কটাপন্ন। হাসপাতালে ভর্তি আছেন তবে ডাক্তাররা উন্নত চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন।
দেশের বাইরে নেয়া হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সিএমএইচএ ডাক্তার যে পরামর্শ দিবেন সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। ডাক্তার যদি মনে করেন দেশের বাইরে নেয়া প্রয়োজন তাহলে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হবে।
একাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে আগে গত বছরের ২০ নবেম্বর ইমানুয়েল কনভেনশন সেন্টারে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সামনে সবশেষ আনুষ্ঠানিক বক্তব্য রাখেন এরশাদ। এরপর অসুস্থতার কারণে আর কোন কর্মসূচীতে অংশ নেননি তিনি। ৬ ডিসেম্বর গাড়িতে করে অফিসের সামনে এলেও সেখানে বসে কথা বলেই চলে যান।
১০ ডিসেম্বর চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে যান এরশাদ। ভোটের মাত্র ৩ দিন আগে ২৬ ডিসেম্বর দেশে ফিরলেও নির্বাচনী ক্যাম্পেনে যোগ দেননি। এমনকি নিজ আসন রংপুরে নিজের ভোটও দিতে যেতে পারেননি সাবেক এই রাষ্ট্রপতি।
ভোটের পর হুইল চেয়ারে গিয়ে শপথ নেন আলাদা সময়ে। ২০ জানুয়ারি ফের সিঙ্গাপুরে যান চিকিৎসার জন্য। সেখান থেকে ফেরেন চার ফেব্রুয়ারি। সংসদ অধিবেশনে মাত্র একদিনের জন্য হাজির হয়েছিলেন তাও হুইল চেয়ারে ভর করেই। অনেক দিন ধরেই অনেকটাই জনসম্মুক্ষে আসছেন না সাবেক এই রাষ্ট্রপতি। হাসপাতাল ও বাসার মধ্যেই সীমাবদ্ধ তার দৈনন্দিন জীবন। কূটনৈতিকদের সম্মানে আয়োজিত ইফতারে যোগ দিয়েছিলেন কয়েক মিনিটের জন্য।
সন্ধ্যায় দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদেরসহ তিনজন নেতা সিএমএইচএ এরশাদকে দেখতে যান। যুগ্ম মহাসচিব মনিরুল ইসলাম মিলন বলেন, দলের চেয়ারম্যানকে সিএমএইচের আইসিইউতে ক্রিটিক্যাল কেয়ার সেন্টারে চিকিৎসাধীন আছেন। সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করছি। বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যায় ভুগছেন ৯১ বছর বয়সী দেশের প্রবীণ এই রাজনৈতিক নেতা।