ওষুধ ও খাদ্য ফিরিয়ে দিয়েছে ইউরোপে অভিবাসন প্রত্যাশীরা ॥ তিউনিসিয়ায় সাগরে ১২ দিন ধরে ভাসছে ৬৪ বাংলাদেশি

43

কাজিরবাজার ডেস্ক :
ইউরোপে অভিবাসনপ্রত্যাশী হওয়ার চেষ্টায় ১২ দিন ধরে তিউনিসিয়ার সমুদ্রসীমায় নৌকায় ভাসছেন ৭৫ জন অভিবাসী; যাদের মধ্যে ৬৪ জনই বাংলাদেশি।
তিউনিসীয় কর্তৃপক্ষ নৌকাটিকে তীরে ভিড়তে না দেয়ায় তাদের খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা দেয়ার চেষ্টা করা হলেও তারা সেটা প্রত্যাখ্যান করেছেন।
বুধবার রেড ক্রিসেন্টকে উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, উপকূলীয় শহর জার্জিস থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে নৌকাটি অবস্থান করছে।
অভিবাসনপ্রত্যাশীদের দলটির মধ্যে ৬৪ বাংলাদেশি ছাড়া বাকিরা মরক্কো, সুদান ও মিসরের নাগরিক। তবে এই মানুষদের বিষয়ে এখনো সব তথ্য জানা যায়নি বলে জানিয়েছে রেড ক্রিসেন্ট।
তিউনিসিয়া সরকারের একটি সূত্র রয়টার্সকে জানায়, এই অভিবাসনপ্রত্যাশীরা খাবার ও চিকিৎসাসেবা প্রত্যাখ্যান করে তাদের ইউরোপে ঢুকতে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। ইউরোপের উদ্দেশেই তাঁরা এই যাত্রা শুরু করেন। কিন্তু তিউনিসিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় শহর মেডিনাইনের কর্তৃপক্ষ তাদের অভিবাসী কেন্দ্রগুলোতে স্থান সঙ্কটের কারণ দেখিয়ে নৌকাটিকে তীরে ভিড়তে দেয়নি।
এরপর থেকে নৌকাটি উপকূলীয় শহর জারজিস থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে সাগরে অবস্থান করছে।
দেশটির একজন সরকারি মুখপাত্র জানিয়েছেন, নৌকার আরোহীদের খাবার এবং ওষুধ দিতে চাইলেও তারা সেসব নিতে রাজি হননি। তারা ইউরোপে ঢুকতে দেওয়ার সুয়োগ চাইছে।
রেড ক্রিসেন্টের কর্মকর্তা মঙ্গি সেলিম বলেন, ‘নৌকাটিতে থাকা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের চিকিৎসাসেবা দেওয়ার জন্য একটি চিকিৎসক দল গিয়েছিল। তবে তারা এই সেবা প্রত্যাখ্যান করেছেন।’
লিবিয়ার জুয়ারা থেকে অবৈধভাবে ইতালিতে যাওয়ার পথে গত ১০ মে তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকা ডুবে বহু মানুষের মৃত্যু হয়। ওই নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজ ৩৯ বাংলাদেশির একটি তালিকা সরকারের পক্ষ প্রকাশ করা হয়েছে। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে, ২০১৯ সালের প্রথম চার মাসে এই পথে ১৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।