কাজিরবাজার ডেস্ক :
ভারতের লোকসভা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন বিজেপির কাছে বড় ধাক্কা খেয়েছে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল। সেই ফলের পর দল গোছাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল প্রধান মমতা বন্দোপাধ্যায়। নেতাকর্মীদের সঙ্গে এক সভায় আবেগী হয়ে মমতা বলেন, ‘একা কত খাটব! আমি আর পারছি না। যেদিন থাকব না, সেদিন তোমরা বুঝবে’। শুক্রবার তৃণমূল ভবনে দলীয় বৈঠকে এভাবে নেতামন্ত্রীদের সতর্ক করেন মমতা।
নির্বাচনী ফল নিয়ে জেলাভিত্তিক পর্যালোচনায় এদিন হুগলির নেতাদের ডেকেছিলেন তৃণমূলনেত্রী। তার দলে যে তোলাবাজ শ্রেণি তৈরি হয়েছে, সেকথা ইদানিং প্রকাশ্যেই বলছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আরও এক ধাপ এগিয়ে এবার তিনি সেই তোলাবাজদেরগ্রেফতারের হুমকি দিলেন। এদিন জেলা দলের পদাধিকারী ও জনপ্রতিনিধিদের তিনি জানিয়ে দেন, ‘তোলাবাজি, দাদাগিরির অভিযোগ পেলে পুলিশ কিন্তু এবার গ্রেফতার করবে।’
এদিনের বৈঠকে দলের পুরনো নেতাকর্মীদেরও খোঁজ করেন তৃণমূলনেত্রী। একাধিক ব্লক ও অঞ্চলের পুরনো নেতাদের বৈঠকে না দেখে জানতে চান, ‘আমার সঙ্গে ১৯৯৮ সাল থেকে দল-করা নেতারা কোথায়? তারা নেই কেন? তাদের সকলকে ফিরিয়ে এনে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। প্রতি ব্লকে এ ব্যাপারে মিটিং করে দেখে নিন।’
দল ছাড়া নিয়ে যে গুঞ্জন, সে ব্যাপারে নিজের মনোভাব স্পষ্ট করে বৈঠকে মমতা বলেন, ‘যাঁরা যেতে চান, চলে যান। দরজা খোলা আছে। কিন্তু দলে থেকে অন্যরকম কিছু করার চেষ্টা করবেন না।’
দলীয় সহকর্মীদের উদ্দেশে মমতার প্রশ্ন, ‘তোমরা কী পাওনি? এমএলএ, এমপি, পুরসভা, পঞ্চায়েত সব পেয়েছ। তারপরেও কাজ কর না। মানুষের কাছে যাও না। ঠিক মতো সাহায্য পৌঁছয় না। তার জন্য দলের নির্বাচনী খারাপ হয়েছে। এরপর তোমরা কী আশা কর?’
এদিন বৈঠকে উপস্থিত মোক্তার হোসেন নামে এক দলীয় কর্মীকে ১০ হাজার টাকা দিয়ে পুরষ্কৃত করেন মমতা। দলীয় সূত্রে খবর, ভোটের দিন তিনিই বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে স্লোগান দিয়ে বুথ আগলেছিলেন।