ফের গাফিলতি প্রধানমন্ত্রীর ফ্লাইটে, চার সদস্যের তদন্ত কমিটি

52

কাজিরবাজার ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রীর ফ্লাইটে দায়িত্ব পালনে আবারও বিমানের বিরুদ্ধে গাফিলতি ও উদাসীনতার অভিযোগ ওঠেছে। এবার প্রধানমন্ত্রীকে আনার জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটের পাইলট পাসপোর্ট ছাড়াই কাতার যাওয়ার পর সেখানে বিপত্তি দেখা দেয়। বিতর্কিত পাইলট ফজল মাহমুদ এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কাতারে অবস্থান করছিলেন। তাকে ওই ফ্লাইট থেকে প্রত্যাহার করে ঢাকায় ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। অন্যদিকে ক্যাপ্টেন আমিনুল ইসলাম নামের অপর এক পাইলটকে শুক্রবার সন্ধায় ঢাকা থেকে কাতার পাঠানো হয়। এ ঘটনায় চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ঘটনায় দোহা ও ঢাকায় তোলপাড় হলেও বিমান বলছে-এটা স্বাভাবিক ঘটনা। ভুল হতেই পারে। এনিয়ে হুলস্থূল করার মতো কিছুই ঘটেনি। আরও এক ধাপ এগিয়ে অভিযুক্ত পাইলট ফজল মাহমুদ বলেছেন, এনিয়ে মিডিয়ায় কেন এত ঝড়? পাসপোর্ট ঢাকায় ফেলে আসার ঘটনা ¯্রফে একটা ভুল ছাড়া আর কিছুই নয়। কাতারে এনিয়ে কিছুই ঘটেনি। পাসপোর্ট না থাকলেও ট্রাভেলস ডুকমেন্টস নিয়ে তিনি কাতার বিমানবন্দর থেকে সরাসরি নিজের হোটেলে গিয়ে ওঠেন। অন্যদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, পাসপোর্ট ছাড়া কিভাবে পাইলট ফজল মাহমুুদ ঢাকা ইমিগ্রেশন অতিক্রম করার সুযোগ পেল- সেটা ভাল করে তদন্তের পর কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রধানমন্ত্রীর ফ্লাইটের দায়িত্ব পালনে কারোর গাফিলতি ও উদাসীনতার কোন সুযোগ নেই। ইমিগ্রেশনই কিভাবে তাকে পাসপোর্ট ছাড়া রিলিজ করল সেটাও খতিয়ে দেখা হবে। তবে আমি প্রাথমিকভাবে যতটুকু জানতে পেরেছি- ওই পাইলট পাসপোর্টের পরিবর্তে একটা জিডি ইমিগ্রেশন কাউন্টারে ফেলে রেখে চলে যান। এটা ইমিগ্রেশন তেমন একটা কেয়ার করেনি। তবুও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে কার কতটুকু গাফিলতি রয়েছে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পাইলট ফজলকে ঢাকায় ফিরিয়ে আনতে পারেনি বিমান। বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা থেকে রিজেন্ট এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে পাসপোর্ট কাতার পাঠানোর পর সেটা ফজলের হস্তগত হয়। এখন তিনি সেটা ব্যবহার করে ঢাকায় ফিরতে পারবেন। বিমান জানিয়েছে আগামী সোমবার ভোরে তিনি ঢাকায় ফিরবেন। তারপর ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে পাসপোর্ট পাওয়ার পর পাইলট ফজল মাহমুদ এ ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন বলে বিমানের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে।
জানা গেছে, বিদেশ সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনতে বুধবার রাতে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বোয়িং ৭৮৭ মডেলের একটি ড্রিমলাইনার দোহা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যায়। বিশেষ ওই বিমানের পাইলট ছিলেন ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ। তিনি দোহা বিমানবন্দরে অবতরণের পর অন্যান্য ক্রুদের সঙ্গে একত্রে ইমিগ্রেশন কাউন্টারে গিয়ে দাঁড়ানোর পর দেখতে পান ব্যাগে পাসপোর্ট নেই। তাৎক্ষণিক নিজেকে সামলে নিয়ে ইমিগ্রেশনে এপ্রোচ করা থেকে বিরত থাকেন এবং দ্রুত চলে যান ট্রানজিট হোটেল অরিজ এয়ারপোর্টে। বিতর্কিত এই পাইলট জানেন- আইন অনুযায়ী, পাসপোর্ট ছাড়া কারও দেশত্যাগ কিংবা অন্য দেশে প্রবেশের সুযোগ নেই। তবে এ বিষয়ে অপর একজন ক্রু জানান, অবস্থা বেগতিক দেখে ফজল মাহমুদ কাতার ইমিগ্রেশনকে জানান, তার পাসপোর্ট বিমানের ফ্লাইট অপারেশন রুমের লকারে। সেখান থেকে বিশেষ ব্যবস্থায় ওই পাসপোর্ট কাতার আনা হবে পরবর্তী ফ্লাইটেই।
এদিকে এ খবর তিনি ঢাকায় পাঠানোর পর টনক নড়ে বিমানের। এটা জানতে পেরে অত্যন্ত গোপনে বিমানের নিরাপত্তা মহাব্যবস্থাপকের কাছ থেকে চাবি নিয়ে ফজল মাহমুদের পাসপোর্ট উদ্ধার করেন বিমানের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ মহাব্যবস্থাপক আশরাফ হোসেন। তিনি জানান, বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্যাপ্টেন জামিল আহমেদের নির্দেশনা মোতাবেক তিনি পাসপোর্ট উদ্ধার করেন এবং এই পাসপোর্ট কাতারে পাঠানোর উদ্যোগ নেন তিনি। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার কাতার এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ফজল মাহমুদের পাসপোর্ট দোহা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পাঠানোর চেষ্টা করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। কিন্তু কাতার এয়ারলাইন্স পাসপোর্ট বহনে অস্বীকৃতি জানায়। কাতার এয়ারলাইন্স বিমানকে জানিয়েছে, স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ছাড়া একজনের পাসপোর্ট বহনের নিয়ম নেই। পরে রিজেন্ট এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে করে ফজল মাহমুদের পাসপোর্ট কাতার পাঠানোর উদ্যোগ নেয়া হয়। রিজেন্ট এয়ারলাইন্সও ওই পাসপোর্ট বহনে প্রথমে অস্বীকৃতি জানালেও পরে বৃহস্পতিবার সেটা বহন করে পৌঁছে দেয়।
এদিকে পাসপোর্ট ছাড়া একজন পাইলট কীভাবে নিজ দেশের ইমিগ্রেশন পার হয়ে বিদেশ গেলেন এটি নিয়ে তোলপাড় চলছে। আইন অনুযায়ী পাসপোর্ট ছাড়া দেশত্যাগ ও অন্য দেশে প্রবেশের সুযোগ নেই। এ বিষয়ে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মুহিবুল হক বলেন, বিষয়টি ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদের ব্যক্তিগত গাফিলতি। তিনি দেশে ফিরে আসার পর আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিমানের পরিচালক (প্রশাসন) জিয়াউদ্দিন আহমেদ বলেন, ভিভিআইপিকে বহন করতে যাওয়া কোন ফ্লাইটের কোন ক্রুর পাসপোর্ট ছাড়া যাওয়া ঠিক হয়নি। এটি বড় ধরনের অপরাধ। দেশে আসার পর তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ঘটনা গণমাধ্যমে ফাঁস হওয়ার পর বিচলিত হয়ে পড়েন ক্যাপ্টেন ফজল। তিনি ঢাকায় ফোন করে কয়েকটি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, দোহা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনে আটক বা গ্রেফতারের খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলেও তা সঠিক নয়। তবে তিনি স্বীকার করেন ভুলে পাসপোর্টটি সঙ্গে নেয়া হয়নি। বুধবারের ঘটনা প্রসঙ্গে ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ বলেন, আমি ফ্লাইটে যাওয়ার সময় যে ব্যাগ সঙ্গে নেই, সেখানেই আমার পাসপোর্ট থাকে। গত ৩ জুন ব্যাংকের কাজের প্রয়োজনে সেখানে পাসপোর্ট নিয়ে যাই। পরবর্তীতে ভুলে আর পাসপোর্টটি আমার ফ্লাইটের ব্যাগে নেয়া হয়নি। এ কারণেই এ ভুল হয়েছে। গণমাধ্যমে ভুলভাবে খবর প্রকাশ হয়েছে দাবি করে ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ বলেন, ‘কাতারের দোহা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনে আমাকে আটক বা গ্রেফতার করা হয়নি। আমি তো ইমিগ্রেশনেই যাইনি। ফলে এ ধরনের ঘটনা ঘটার কারণ নেই। আমি তাদের মুখোমুখিও হইনি। ফ্লাইট নিয়ে গেলে কাতার শহরের ক্রাউন প্লাজা হোটেলে ওঠেন বিমানের পাইলটরা। কিন্তু আমার সঙ্গে পাসপোর্ট না থাকায় আমি আর সেখানে যাইনি। অন্য পাইলট ও ক্রুরা ইমিগ্রেশন হয়ে ক্রাউন প্লাজা হোটেলে চলে যান। আমি দোহা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ট্রানজিট এলাকার হোটেল অরিস এয়ারপোর্ট-এ উঠি। বাংলাদেশ থেকে আমার পাসপোর্ট আসার পর আমি ক্রাউন হোটেলে চলে এসেছি। বিমানবন্দর থেকে হোটেলে আসার সময় ইমিগ্রেশনে আমাকে কোন ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়নি। অথচ খবরে দেখলাম, আমাকে আটক করা হয়েছে।
বাংলাদেশ থেকে কাতারে যাওয়ার সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন অতিক্রম করার প্রসঙ্গে ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ বলেন, ঈদের দিন বিকেলে আমরা রওনা হই। ঈদের দিন হওয়ায় সবাই ফেস্টিবেল মুডেই ছিলেন। শাহজালালে ইমিগ্রেশনে আমার পাসপোর্ট দেখতে চাইলে এ ভুলটি আর হতো না। আমি তখনই পাসপোর্ট এনে ফ্লাইটে যেতাম। আসলে আমি যেমন ভুল করেছি, ঢাকার ইমিগ্রেশনও ভুল করেছে। আসলে ঢাকার ইমিগ্রেশনে আমাদের জেনারেল ডিক্লারেশনের (জিডি) কপি দেয়ার পর ফিঙ্গার প্রিন্ট নেয়া হয়। দেখানো ছাড়া পাসপোর্ট আর কোন কাজে লাগে না। কারণ, জিডি কপি আর ফিঙ্গার প্রিন্টেই সব তথ্য পেয়ে যায় ইমিগ্রেশন। তবে অনেক দেশে পাসপোর্ট স্ক্যান করে রাখে।
এ ঘটনায় বেসামরিক বিমান ও পর্যটন সচিব মোঃ মহিবুল হক বলেছেন তদন্তের পর জানা যাবে। তবে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে ঢাকা ইমিগ্রেশন ও পাইলট ফজল উভয়েই ভুল করেছে। মহিবুল হক বলেন, ‘আমি মনে করি যে যতটুকু অপরাধ করে, তার ওই পরিমাণ শাস্তি হওয়া উচিত। আমরা মন্ত্রণালয় থেকে শাস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করব।
এদিকে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিবের নির্দেশে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট ফজল মাহমুদকে ভিভিআইপি ফ্লাইট থেকে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। তার পরিবর্তে পাঠানো হয়- ক্যাপ্টেন আমিনুলকে। শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটা পাঁচ মিনিটে বিমানের দোহাগামী নিয়মিত ফ্লাইট (বিজি-০২৫) তিনি ঢাকা ত্যাগ করেন।
চার সদস্যের তদন্ত কমিটি : এ ঘটনা তদন্তে ৪ সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে। শুক্রবার ছুটির দিনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব গাজী তারিক সালমন স্বাক্ষরিত এক আদেশে বলা হয়, পাসপোর্ট ছাড়া পাইলট ফজল মাহমুদের দোহা ভ্রমণের কারণ অনুসন্ধান করবে কমিটি। একইসঙ্গে কমিটি শাহজালাল বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে অবহেলার কারণ নিরূপণ করবে। চিহ্নিত করবে বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের ত্রুটি। কমিটি জরুরী ভিত্তিতে তদন্ত করে তিন কর্মদিবসের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবে। কমিটির আহ্বায়ক মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নাসিমা বেগম, সদস্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিব মোঃ হেলাল মাহমুদ শরীফ, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মুস্তাকিম বিল্লাহ ফারুকী। কমিটির সদস্য সচিব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্ম সচিব মোঃ জাহাঙ্গীর আলম।
ইমিগ্রেশন পুলিশ সূত্রে জান গেছে, ইতোমধ্যে এই ঘটনায় চার থেকে পাঁচ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এছাড়া, সিসিটিভির ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করা হচ্ছে। ইমিগ্রেশন পুলিশের অভিযোগ, বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন পার হওয়ার সময় পাইলট ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাকে সহযোগিতা করেননি। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানের পাইলট হওয়ায় ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাও তার বিষয়ে ছিলেন নমনীয়। এক প্রশ্নের জবাবে ইমিগ্রেশন পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, ঘটনার পরপরই আমরা তদন্ত শুরু করেছি। পাইলট যখন ইমিগ্রেশন পার হয়েছেন, তখন আসলে কী ঘটেছিল, ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা তার কাছে পাসপোর্ট চেয়েছিলেন কিনা- ওই সময়ে থাকা দায়িত্বপ্রাপ্ত ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাকে এসব বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
ইমিগ্রেশন পুলিশের বিশেষ শাখার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, ঘটনার পরপরই আমরা দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। শুক্রবার বিকেলের মধ্যেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া চলছিল। আমরা তদন্তের জন্য সবকিছুই আমলে নিয়েছিলাম। তদন্ত প্রায় শেষ।
বিমানের বক্তব্য : এদিকে শুক্রবার বিমানের মুখপাত্র শাকিল মেরাজ দাবি করেছেন, এ ঘটনা ঠিক নয়। কিছু সংবাদ মাধ্যমে দোহা ইমিগ্রেশন পুলিশ কর্তৃক বিমান পাইলট আটক বা গ্রেফতার করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে যা মোটেও সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে সেখানে কোন বিমান পাইলট আটক, গ্রেফতার বা আটকে কোন ঘটনা ঘটেনি। প্রকৃত পক্ষে ৫ জুন বিমানের ঢাকা-চট্টগ্রাম-দোহা রুটে বিজি ১২৫ ফ্লাইটের অপারেটিং ক্যাপ্টেন হিসেবে ফ্লাইট পরিচালনা করেন ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ। দোহায় অবতরণ করার পর তিনি লক্ষ্য করেন যে, তার পাসপোর্টটি তার সঙ্গে নেই। এমতাবস্থায় তিনি ইমিগ্রেশনে না গিয়ে দোহা এয়ারপোর্ট এ বিমান স্টেশন ম্যানেজার ও ঢাকা অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং দোহা এয়ারপোর্ট এ ইমিগ্রেশন চেক পয়েন্ট এর আগে ট্রানজিট হোটেল অরিক্স এ চলে যান। পরবর্তীতে ৬ জুন সন্ধ্যায় তার পাসপোর্ট দোহায় প্রেরণ করা হয় এবং তিনি স্বাভাবিক নিয়মেই কোন জটিলতা ছাড়াই ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করে দোহা নগরীতে বিমান ক্রুদের নির্ধারিত হোটেল ক্রাউন প্লাজায় চলে যান। বর্তমানে তিনি ওই হোটেলে অবস্থান করছেন এবং বিমান কতৃর্পক্ষের সিদ্ধান্ত মোতাবেক আগামী সোমবার ভোরে দোহা থেকে বিজি ১২৬ ফ্লাইট অপারেট করে ঢাকা আসবেন।