স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর মির্জাজাঙ্গালে অস্বাস্থ্যকর প্রক্রিয়ায় পণ্য উৎপাদনের কারণে এবার আদি প্রতিষ্ঠান মোহনলাল ও মোহনা সুইটস নামে ২টি প্রতিষ্ঠানকে ২ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুর একটার দিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মির্জাজাঙ্গাল এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে এ ২ প্রতিষ্ঠানে জরিমানা করে তা আদায় করা হয়। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরিসহ নানা অনিয়মের কারণে আদি মোহনলালকে ১ লক্ষ টাকা ও মোহনা সুইটসকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমান আদালত। এসময় ওই এলাকার বিভিন্ন স্টোর থেকে নিষিদ্ধ পণ্য মোল্লা সল্ট ২৪ কেজি, এসিআই পিউর সল্ট ৮ কেজি, সান চিপস ৫০ প্যাকেট জব্দ করে ধ্বংস করা হয়।
রমজানের শুরু থেকে খাদ্যের মান ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে নগরীতে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করে আসছে সিলেট জেলা প্রশাসন। ইতোমধ্যে এ অভিযানে ফিজা, মধুফুল, ওয়েল ফুড, বনফুল, আগোরাসহ বিভিন্ন নামীদামী প্রতিষ্ঠানে নানা অনিয়মের কারণে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এবার অনিয়মের তালিকায় যুক্ত হলো আদি মোহনলাল ও মোহনা সুইটস এর নাম।
সিলেট জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার মুহাম্মদ হেলাল চৌধুরীর নেতৃত্ব পরিচালিত এ অভিযানে এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা স্যানেটারি ইন্সপেক্টর স্নিগ্ধুনেন্দু সরকার সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালী থানার এসআই আব্দুল গফফারসহ পুলিশ সদস্য।
এদিকে, নগরীর নয়াসড়কস্থ ফুলকলি ফুড প্রোডাক্টস লিমিটেডের শো-রুমকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে দায়ের করা মামলায় জরিমানা আদায় করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সিলেট জেলার সহ-পরিচালক ফয়েজ উল্লাহর উপস্থিতিতে এ জরিমানা আদায় করা হয়।
এর আগে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে দায়ের করা ঐ মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিতে ফুলকলির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ডিজিএম জসিম উদ্দিন খন্দকার। ৩০ মিনিটের এই শুনানিতে উভয় পক্ষের মৌখিক বক্তব্য নেয়া হয়। শুনানি শেষে ফুলকলির বিরুদ্ধে এ জরিমানার রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ে ফুলকলিকে নগদ ১০ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ এবং ভবিষ্যতে এমন কাজ করা হবে না বলে মুছলেখা নেয়া হয়। এ সকল তথ্য নিশ্চিত করেন ক্রেতা সলমান আহমদ চৌধুরী।
উল্লেখ্য, চলতি মাসের ৩ তারিখ নগরীর নয়াসড়কস্থ ফুলকলি ফুড প্রোডাক্টস লিমিটেডের শো-রুমে যান সলমান আহমদ চৌধুরী নামের এক ক্রেতা। ঐ সময় টিস্যু দিয়ে মুছে নষ্ট সমছা বিক্রি, শো-রুমের ভিতরে নোংরা পরিবেশ, মিষ্টির শোকেছে মাছির ঘোরাফেরা দেখতে পান। পরে তিনি ভিডিও ফুটেজ নিয়ে ব্রাঞ্চ ম্যানেজারকে অবহিত করলে তিনি এ ব্যাপারে কোন কথা বলেননি। ক্রেতা সলমান আহমদ ৬ মে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সিলেট জেলার সহকারী পরিচালক মো. ফয়েজ উল্লাহ’র হাতে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এর প্রেক্ষিতে গতকাল মঙ্গলবার এ রায় প্রদান করে জরিমানা আদায় করা হয়।