আতিকুর রহমান মাহমুদ ছাতক থেকে :
ছাতকের কৈতক ২০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসকের অভাবে চিকিৎিসা সেবা নিতে আসা মানুষজন চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। ঘন্টারপর-ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়েও চিকিৎসা সেবা নিতে পারেন নাই অনেকেই। সেবা না নিয়ে অনেকেই ফিরে যেতে দেখা গেছে। এতে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে হাসপাতালে আসা সেবা বঞ্চিতদের মধ্যে। বৃহস্পতিবার সরেজমিন হাসপাতাল ঘুরে ৩জন ডাক্তারের মধ্যে দেখা মিলে ১জনের। তাও আবার ব্যক্তিগত চেম্বারে রোগী দেখতে ব্যস্ত। ২০ শয্যা হাসপাতাল কৈতকের ইনচার্জ ডাক্তার মোহাম্মদ মোজাহারুল ইসলাম সরকারী ট্রেনিংয়ে রয়েছেন ঢাকায়। ডাক্তার মো: আবু সালেহীন খানকে অনুপস্থিত পাওয়া যায়। কর্তব্যরত রয়েছেন ডাক্তার সাইদুর রহমান। ৩জন ডাক্তারের মধ্যে ১জন ডাক্তার কর্মস্থলে দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় থাকলেও আগত শিশু, মহিলা ও পুরুষ রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন। ওয়ার্ডে ভর্তিরত রোগীরা সেবিকা ছাড়া দায়িত্বরত চিকিৎসকেরে দেখা পান নাই বলে রোগীর স্বজনরা জানান। মেডিকেলের ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ ডাক্তার সাইদুর রহমান সিডিউলের সময় শেষে ব্যক্তিগত চেম্বারে আসা রোগীদের সেবা দানে ব্যস্ত সময় কাটাতে দেখা গেছে।
ছাতকের হলদিউরা গ্রামের লেচু বেগম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, হাসপাতালে গিয়ে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অপেক্ষা করে ডাক্তার দেখাতে না ফেরে বাড়ী ফিরে যাচ্ছি।
শ’শ রোগী আর ডাক্তার এক জন। অনেক রোগীই চিকিৎসা না নিয়ে ফিরতে হয়েছে বলেও তিনি জানান।
কৈতক হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ ডাক্তার সাইদুর রহমান জানান, চিকিৎসক ৩জনের মধ্যে তিনিই কর্মস্থলে আছেন। মেডিকেলের ইনর্চাজ ডাক্তার মোহাম্মদ মোজাহারুল ইসলাম সরকারী ট্রেনিংগে ঢাকায় রয়েছেন। আর ডাক্তার মো: আবু সালেহীন খান বুধ ও বৃস্পতিবার অনুপস্থিত রয়েছেন। ছুটির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন মৌখিক বা লিখিত ছুটি ছাড়াই ডা. সালেহীন কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন।
ডাক্তার মো: আবু সালেহীন খানের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে বলেন, তিনি ছুটিতে রয়েছেন।
মেডিকেলের ইনচার্জ ডাক্তার মোহাম্মদ মোজাহারুল ইসলামের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে বলেন, তিনি সরকারী ট্রেনিংয়ে ঢাকায় রয়েছেন। ডাক্তার মো: আবু সালেহীন খানের ছুটির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, বাৎসরিক ২০দিন নৈমিত্তিক ছুটি পাওয়ার কথা থাকলেও ইতিমধ্যে তিনি ২৫দিন ছুটি কাটিয়েছেন। ২৫দিন নৈমিত্তিক ছুটি কাটিয়েছেন মর্মে গত ৮ই মে ২০১৯ইং তারিখে তাকে নোটিশ করা হয়েছে।