স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর চৌহাট্টায় যুবলীগের ২ গ্র“পের সংঘর্ষে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতাসহ ২ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষে গুরুত্বর আহত যুবলীগ নেতা হলেন মিটু ও সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সম্পাদক আরিফ আহমদ। তাদেরকে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল রবিবার দুপুর ১ টার দিকে মানরু শপিং সেন্টারের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওসমানী হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই ফারুক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, টিলাগরকেন্দ্রীক যুবলীগ নেতা মাবরুর ও মিটুর মধ্যে পাথর ব্যবসার টাকা নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে মিটুর উপর যুবলীগ নেতা মাবরুরের নের্তৃত্বে হামলা হয়। এসময় ছুরিকাঘাতে মিটু গুরুতর আহত হন। যুবলীগ নেতা মাবরুর ও মিটু মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মুশফিক জায়গীরদারের অনুসারী বলে জানা যায়।
অন্য একটি সূত্র জানায়, টিলাগরকেন্দ্রীক যুবলীগ নেতা মাবরুর ও মিটুর মধ্যে দীর্ঘদিন থেকে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। যুবলীগ কর্মীদের ভাষ্য অনুযায়ী গত শনিবার রাতে যুবলীগ নেতা মিটু মাবরুরকে একা পেয়ে মারধর করেন। এর জের ধরে রবিবার দুপুরে আওয়ামী লীগের বিভাগীয় সম্মেলন উপলক্ষে সেখানে যাচ্ছিলেন মিঠু তালুকদার। তখন চৌহাট্টা এলাকায় মিটুকে একা পেয়ে যুবলীগ নেতা মাবরুরের অনুসারীরা মিঠুর উপর হামলা করে। এ সময় ছুরিকাঘাতে মিঠু গুরুতর আহত হন।
এ ব্যাপারে কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সেলিম মিঞা বলেন, চৌহাট্টায় ব্যবসায়িক লেনদেনের জের ধরে একজন আরেকজনের সাথে মারামারি হয়েছে। এতে একজন গুরুতর আহত হন ও অপরজন সামান্য আহত হয়েছেন। তিনি বলেন, এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কেউ থানায় মামলা নিয়ে আসেনি। এছাড়া কেউ আটকও নেই বলে জানান ওসি।