মাধবপুর থেকে সংবাদদাতা :
হবিগঞ্জের মাধবপুর পৌরসভা নির্বাচন দ্বিতীয় ধাপে আগামী ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে । ৯ টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ১৫ হাজার ৯শত ৮৭জন।
এর মধ্যে ৬হাজার ৭শত ৪২জন হিন্দু ভোটার রয়েছে। মাধবপুর পৌরসভা সিলেট বিভাগে প্রবেশদ্বার এবং প্রথম শ্রেণির পৌরসভা। মেয়র পদে ৪ জন, ৯ টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৩৭ জন, সংরক্ষিত মহিলা আসনে ৭ জন প্রার্থী অংশগ্রহণ করেছে।
মেয়র পদে আওয়ামিলীগের প্রার্থী শ্রীধাম দাস গুপ্ত (নৌকা প্রতীক ) কে অংশগ্রহণ করেছে।নৌকা প্রতীক নিয়ে আসলেও মাঠে তেমন অবস্থান চোখে পড়েনি। প্রচার প্রচারণা স্থানীয় আওয়ামিলীগের অনেক নেতাকর্মীদের মাঠে দেখা যায়নি। হাবিবুর রহমান মানিক বিএনপির একক প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে। সে অল্প ভোটের ব্যবধানে গত বছর নৌকার প্রার্থী বর্তমান মেয়র হিরেন্দ্র লাল সাহার সাথে পরাজিত হন।
এ নির্বাচনে শক্ত অবস্থান নিয়ে প্রচার প্রচারণায় চালিয়ে যাচ্ছেন। হাবিবুর রহমান মানিক জানান, জনগণ সঠিক ভাবে ভোট প্রয়োগ করতে পারলে অবশ্যই এ বছর ধানের শীষ প্রতীকের জয় হবে নিশ্চিত। শাহ মুহাম্মদ মুসলিম মাধবপুর পৌরসভার প্রথম মেয়র ও উপজেলার আওয়ামীলীগের সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা। আওয়ামীলীগ থেকে নৌকা প্রতীক না পেয়ে স্বতস্ত্র প্রাথী র্( জগ মার্কা ) নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন।
স্থানীয় রাজনীতি অঙ্গনে রয়েছে গ্রহণ যোগ্যতা সেই সুবাধে ভোটের মাঠে রয়েছে শক্ত অবস্থান। পৌরসভার চারদিকে প্রচার প্রচারণায় সরগরম।
পংকজ কুমার সাহা একজন দানশীল ব্যক্তি বর্তমান মেয়র হিরেন্দ্র লাল শাহার ছোট ভাই। তিনি মানুষের বিপদে সবসময় সাহায্যে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতেন এবং কারও কাছে প্রকাশ্যে প্রকাশ করতেন না। বিভিন্ন মসজিদ-মন্দিরে সাহায্য করেছেন। নৌকার প্রতীক না পেয়ে (নারিকেল গাছ) প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী মাঠে রয়েৃেছন।
নির্বাচনী মাঠে প্রচার প্রচারণা মুখরিত। পংকজ কুমার সাহা জানান সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জনগণ যদি সঠিক ভাবে ভোট প্রয়োগ করতে পারে তাহলে ১৬ তারিখ আমার বিজয় নিশ্চিত। গত নির্বাচনে অল্পভোটের ব্যবধানে নৌকা প্রতীকের কাছে ধানের শীষ প্রার্থী পরাজিত হন। নির্বাচন বিশ্লেষক ও সাধারণ ভোটারদের ধারণা এবারের মাধবপুর পৌর নির্বাচনে নৌকা নয় বাকি ৩ প্রার্থীর মধ্যে শক্ত লড়াই হবে।