বকেয়া বিলের দাবিতে দিরাই উপজেলার পিআইসিদের দৌঁড়ঝাঁপ

7

আল-হেলাল সুনামগঞ্জ থেকে :
সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ড পাউবোর উদ্যোগে নির্মিত বাঁধের কাজ শেষ হলেও প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি পিআইসির সাথে জড়িতরা বিল পাচ্ছেননা বলে অভিযোগ উঠেছে। এবার ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০২টি প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) গঠনের মাধ্যমে বাঁধের কাজ শুরু হয়। একজন সভাপতি ও একজন সদস্যসচিব ও কমপক্ষে ৩জন কৃষক নিয়ে কমপক্ষে ৫ জন সদস্য সমন্বয়ে গঠন করা হয় প্রতিটি পিআইসি। এসব পিআইসির সাথে জড়িত রয়েছেন প্রায় ৫ শতাধিক কৃষক। তাদের দাবী ইতিমধ্যে শতভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু কাজ শেষ করলেও ৪০ ভাগ বকেয়া বিল পাচ্ছেননা তারা। কর্তৃপক্ষ মাত্র ৩টি বিলের আওতায় প্রত্যেক পিআইসিকে সর্বোচ্চ ৪০-৬০% বিল প্রদান করেছেন। পুরো বিল না পাওয়ায় পিআইসিরা ঋণদাতাদের কাছে নানাভাবে নাজেহাল হচ্ছেন বলেও জানা গেছে। বাঁধের কাজ করতে গিয়ে অনেকেই বাড়ি জমি ও গবাদিপশু বিক্রয় করেছেন। কেউ কেউ ১০% থেকে ২০% হারে সুদ দিয়ে টাকা সংগ্রহ করে বাঁধের কাজ সম্পন্ন করেছেন। কিন্তু কর্মকর্তারা দেই দিচ্ছি করে বিল প্রদানে গড়িমসি করায় তাদের সকল আশাই এখন গুঁড়েবালি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে এস্কেভেটর (মাটি কাটার) মেশিন মালিকদের পাওনা ও বাঁধের কাজে দৈনন্দিন ৫শত থেকে ৭ শত টাকা মজুরীর ভিত্তিতে নিয়োজিত শ্রমিক মজুরদের প্রাপ্য টাকা পরিশোধ করতে গিয়ে পিআইসির সভাপতি-সদস্যসচিবদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। অনেকে পাওনাদারদের চাপে বাড়িঘর ও পরিবার পরিজন ফেলে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলেও জানা গেছে। তাদের বক্তব্য কাজ শেষ হয়েছে দেড়মাস আগে। হাওরগুলোর ফসল কাটাও শেষ হয়েছে। এরপরও অন্যায় অজুহাতে তাদের বিল প্রদান করা হচ্ছেনা। ফলে বকেয়া বিল প্রদানের দাবী পিআইসিদের প্রাণের দাবীতে পরিণত হয়েছে।
এ অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চেয়ে এস্ও রিপনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করেও তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
দিরাই উপজেলা কাজের বিনিময়ে টাকা (কাবিটা) স্কীম প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও শরিফুল ইসলাম দেশের বাইরে আছেন তিনি ৭ মে কর্মস্থলে ফিরে বকেয়া বিল পরিশোধ করবেন উল্লেখ করে ভারপ্রাপ্ত ইউএনও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিম্বজিৎ দেব বলেন, বাঁধের কাজ শতভাগ সম্পন্ন হয়েছে। দিরাই উপজেলায় ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০২টি প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি পিআইসির মাধ্যমে বাঁধের কাজ আমরা সম্পন্ন করেছি। দুএকটি পিআইসিতে সমস্যা থাকলেও মোটামোটি সবগুলো পিআইসিই কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করেছে। আসলে ফসল কাটা শেষ করার জন্য বিল প্রদান স্থগিত রাখা হয়েছিল। ইতিমধ্যে ফসল তোলাও শেষ হয়েছে। এখন সকল পিআইসিদেরকে তাদের বকেয়া বিলের টাকা অর্থাৎ চতুর্থ বিল পরিশোধ করবো।