নেতাদের উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের ॥ শেখ হাসিনার নির্দেশনায় দল সাজাতে হবে

12

কাজিরবাজার ডেস্ক :
খালেদা জিয়াকে নিয়ে বারবার কথা বলার সময় নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, আমাদের অনেক কর্মসূচি রয়েছে। অনেক কাজ, দেশের কাজ, দলের কাজ। একজন খালেদা জিয়াকে নিয়ে বারবার প্রশ্নের উত্তর দেব, সেই সময় তো আমাদের নেই। এ নিয়ে অনেক কথা হয়েছে।
বুধবার আওয়ামী লীগের যৌথসভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক, জেলা ও মহানগরের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং সংসদ সদস্যদের নিয়ে এ সভা হয়।
এ সময় ওবায়দুল কাদের বলেন, তিনি আদালতে আছেন। আদালতই সব ঠিক করবেন। এটা কোনো রাজনৈতিক মামলা নয়, দুর্নীতির। আদালত যেটা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেবেন। এটা আওয়ামী লীগের হাতে, শেখ হাসিনার হাতে বা আমাদের কারো হাতে নেই। কাজেই বারবার এ বিষয়ে প্রশ্ন করে বিব্রত করবেন না। আমি বারবার এই প্রশ্নের উত্তর দিতে চাই না।
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বিশ্ব অর্থনীতি যদি কোনো ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়, কোনো কারণে মন্দা দেখা দেয়, তার প্রভাব সারা বিশ্বেই পড়বে। তবে করোনাভাইরাস আমাদের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে, সে অবস্থা এখনো আসেনি। এটা যদি বেশি দিন থাকে তাহলে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা আমরা উড়িয়ে দিচ্ছি না। করোনাভাইরাসের প্রভাব দীর্ঘদিন থাকলে পদ্মা সেতুর কাজে কিছুটা প্রভাব পড়তে পারে। পদ্মা সেতুতে চীনের ২৫০ কর্মী ও শ্রমিক আছেন। তারা স্বদেশে ছুটিতে গেছেন নববর্ষে। তারা এখনো আসেননি।
করোনাভাইরাসের যে প্রতিক্রিয়া, এরপরও তিনটি স্প্যান আমাদের বসে গেছে। আগামীকালও একটি স্প্যান বসার কথা। যারা ছুটিরে কারণে চীনে আছেন, আগামী আড়াই মাসের মধ্যে তারা ফিরে না এলে একটু সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। তবে আগামী দুই মাসের কাজে কোনো ক্ষতি হচ্ছে না।
দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম সম্পর্কে নেতাদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার বড় নির্দেশনা দল সাজাতে হবে। সাংগঠনিকভাবে দলকে সুশৃঙ্খল করতে হবে। সংগঠনের সময়ের চাহিদা মেটাতে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, দল ক্ষমতায় থাকায় সাংগঠনিক দুর্বলতা টের পাচ্ছেন না। অনেক জায়গায় দেখা যায়, সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক হয়ে আছেন। আট থেকে ১০ বছর হয়ে গেছে আর কেউ নেই। পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়নি। আবার অনেকে পূর্ণাঙ্গ কমিটি জমা দিচ্ছে, অনুমোদন পেতে পেতে ছয় মাস। সম্মেলন করতে বললে বলেন আমাদের তো মেয়াদ শেষ হয়নি। সম্মেলন যেদিন থেকে হবে, সময় গণনা সেদিন থেকে হবে।
যৌথসভায় আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুহাম্মদ ফারুক খান, আবদুর রহমান, শাজাহান খান, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, প্রচার সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাম, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মোহাম্মদ মন্নাফি প্রমুখ।