গত কয়েকদিন পূর্বে লন্ডন থেকে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দু সপ্তাহের জন্য সিলেট আসেন একই পরিবারের ১৯জন যাত্রী। যথারীতি তারা বিয়েতে অংশগ্রহণ করে গত ৩০ এপ্রিল ৯টায় লন্ডনের উদ্দেশ্যে তারা সিলেট এমএজি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। সেখানে গিয়ে ১২টার বিমানের ফ্লাইটের জন্য অপেক্ষা করেন। কিন্তু ফ্লাইট ছাড়ে দেড় ঘন্টা বিলম্বে। এখন থেকেই তাদের দুর্ভোগের শুরু। তারা বিমানে করে ঢাকায় পৌঁছার পর ৩টায় বিজি-১৪৭ ঢাকা-দুবাই ফ্লাইটে দুবাই গিয়ে পৌঁছার কথা এবং দুবাইয়ে গিয়ে বিএ-১০৬ নম্বর ফ্লাইটে দুবাই-লন্ডন গিয়ে পৌঁছার কথা।
কিন্তু বাংলাদেশ বিমানের গাফিলতির কারণে একই পরিবারের ১৯জন যাত্রীর গত ৩০ এপ্রিলের বিজি-১৪৭ ঢাকা-দুবাই ফ্লাইট কেনসেল হয়েছে বলে বিমান কর্তৃপক্ষ তাদের বলে। এবং তাদের অন্য ফ্লাইটে তুলে দেওয়ার কথা বলে একটি হোটেলে থাকার কথা বলে। তারা বর্তমানে একই পরিবারের ১৯জন ঢাকার উত্তরার ৬ নম্বর সেক্টরের হোটেল সিটি হোমে চরম দুর্ভোগ-অনিশ্চয়তা নিয়ে বিমানের অপক্ষায় দিন কাটাচ্ছেন। বিমান কর্তৃপক্ষ বলছে, ১ মে তাদের দুবাই পর্যন্ত পৌঁছে দিতে পারবে কিন্তু দুবাই গিয়ে অন্য কোন বিমানের কোন কানেক্টিন ফ্লাইট দিতে দিতে পারবেনা। ফলে তাদের আরো অপক্ষে করতে হবে।
এ নিয়ে ক্ষোভ ও অসন্তেুাষ জানান, বিমানের যাত্রী মাহবুবুর রহমান মঞ্জুর, মুজিবুর রহমান মুজিব ও হেলিম হক তারা বলেন, আমরা নারীর টানে দেশে আসি। দেশের প্রতি ভালবাসা এই জন্য দেশে আসি কিন্তু দেশে আসলে আমাদের পদে পদে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। গত দুদিন ধরে আমাদের বেহাল দশার মধ্যে থাকতে হচ্ছে। ছেলে-মেয়ে নিয়ে এখন বিমানের গাফিলতির জন্য থাকতে হচ্ছে হোটেলে। ছেলে-মেয়েরা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। বিমানের এই গাফলতি কোনমতেই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা এখন মানবেতর জীবন যাপন করছি। বিমান আমাদের শুধু অপেক্ষায় রাখছে।
এদিকে, এ ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছেন, সিলেট জেলা ব্যবসায়ী ঐক্য কল্যাণ পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আলহাজ শেখ মখন মিয়া, মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান রিপন, সিলেট জেলা ব্যবসায়ী ঐক্য কল্যাণ পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক এইচএ তাফাদার রুহলে, মহানগর শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হক পাভেল, জেলা শাখার সংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক পংকি মিয়া জালালী। (খবর সংবাদদাতার)