সংবাদ সম্মেলনে যা বললো সিআইডি ॥ কলেজ ছাত্র রাহাত হত্যার ঘটনার ৬ দিন পর ঘাতক সাদি কুষ্টিয়া থেকে গ্রেফতার

20

স্টাফ রিপোর্টার :
দক্ষিণ সুরমা সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে জুনিয়র-সিনিয়র দ্বন্দ্বে আরিফুল ইসলাম রাহাতকে হত্যা করা হয় বলে পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন খুনের ঘটনার মামলায় প্রধান আসামি সামসুদ্দোহা সাদী।
গতকাল বুধবার ২৭ অক্টোবর দুপুরে গ্রেফতার সাদীকে নিয়ে ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলন করে এমন তথ্য জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এর আগে মঙ্গলবার রাতে সামসুদ্দোহা সাদীকে কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের দুর্গম চর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে সিআইডি।
সংবাদ সম্মেলনে সিআইডি জানায়, রাহাত খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হওয়ায় ঘটনার ছায়া তদন্ত শুরু করে সিআইডি। বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধরের নির্দেশনায় এলআইসি’র একটি চৌকস টিম কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের দুর্গম চর এলাকা থেকে মামলার এজাহারনামীয় প্রধান আসামি সামসুদ্দোহা সাদীকে (২৩) গ্রেফতার করে।
সাদীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে সিআইডি জানায়, গ্রেফতারকৃত সাদি হত্যার ঘটনা স্বীকার করেছে। বয়সে সাদী ছিলেন রাহাতের চেয়ে বড়। এজন্য তিনি রাহাতের কাছে ‘জ্যেষ্ঠতা’ (সিনিয়রিটি) দাবি করে আসছিলেন। এ নিয়ে উভয়ের বিবাদের অংশ হিসেবে হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়। ঘটনার সময় সাদীর পকেটে ছোরা ছিল বলে জানায় সিআইডি। সেটি দিয়েই তিনি রাহাতকে ছুরিকাঘাত করেন। ঘটনার পর সাদী পালিয়ে ঢাকার মিরপুরে অবস্থান করেন। সেখান থেকে আত্মগোপনে কুষ্টিয়ায় চলে যান তিনি। সংবাদ সম্মেলন সূত্রে জানা গেছে, সামসুদ্দোহা সাদীকে গ্রেফতারের পর কাল রাতে কুষ্টিয়া থেকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। এরপর গতকাল রাজধানী ঢাকার মালিবাগে সিআইডি হেডকোয়ার্টারে আনুষ্ঠানিকভাবে সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
এ ব্যাপারে গতকাল বুধবার রাতে দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল হাসান বলেন, রাহাত খুনের ঘটনাটি চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হওয়ায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) মামলাটি ছায়া তদন্ত করে। গত মঙ্গলবার রাতে কুষ্টিয়া জেলা থেকে সিআইডি টিম মুল ঘাতক সামসুদ্দোহা সাদীকে গ্রেফতার করে। তিনি বলেন, এখন মামলাটির নথিপত্র আমরা সিআইডি’র কাছে হস্তান্তর করবো। তারাই মামলাটির তদন্ত করবে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় দক্ষিণ সুরমা সরকারি কলেজের মূল ফটকের ভেতরে ছুরিকাঘাতে খুন হন পুরান তেতলি গ্রামের সুরমান মিয়ার ছেলে ও কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয়বর্ষের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র আরিফুল ইসলাম রাহাত। তাকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় আসামীরা। ঘটনায় পরদিন শুক্রবার রাতে রাহাতের চাচা শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে দক্ষিণ সুরমা থানায় সাদিসহ ৩ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামি হিসেবে নামোল্লেখ করা হয় দক্ষিণ সুরমা থানার সিলাম পশ্চিমপাড়া গ্রামের জামাল মিয়ার পুত্র তানভীর এবং সিলামের আহমদপুর গ্রামের মৃত গৌছ মিয়ার পুত্র সানি।