গরম কমছে না শিগগির

14

কাজিরবাজার ডেস্ক :
দেশজুড়ে গরম কমার সুখবর দিতে পারছে না আবহাওয়া অফিস। মাঝবৈশাখে টানা সাত দিন ধরে চলছে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ। গত রবিবার রাজশাহীতে থার্মোমিটারের পারদ উঠেছে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে; সারা দেশে চলতি মৌসুমে এটাই এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, গত দুই দিনে কিছু এলাকায় তাপ প্রশমিত হয়েছে। তবে রাজশাহী ও খুলনা বিভাগ এবং টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, রাঙ্গামাটি অঞ্চলে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এখনই পরিস্থিতির উন্নতির আশা কম।
তিনি বলেন, ‘প্রথমত বৃষ্টি নেই; সেই সঙ্গে স্থলভাগের মেঘ সরে যাচ্ছে সাগরে ঘূর্ণিঝড় এলাকার দিকে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের দিকে মেঘ ছুটে চলায় আমাদের এখানে বৃষ্টি নেই। সেজন্য তাপপ্রবাহও অব্যাহত রয়েছে।’
দেশের একটি বড় এলাকা বৃষ্টিহীন থাকায় অন্তত আরও দুদিন তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন ওমর ফারুক।
ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে ঝড়োহাওয়ার শঙ্কায় সমুদ্রবন্দরগুলোকে ২ নম্বর দূরবর্তী সংকেতও বহাল রেখেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আবহাওয়ার বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ আরও উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর উত্তাল থাকায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাবধানে চলাচলের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি গত শনিবার ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিলে বাংলাদেশের প্রস্তাব অনুযায়ী এর নাম দেওয়া হয় ‘ফণী’। এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সাগর তীরের আট দেশের আবহাওয়া দপ্তর ও বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্যানেলে এ নামটি প্রস্তাব করে বাংলাদেশ। ফণী অর্থ সাপ।
ফণীর মতিগতি বিশ্লেষণ করে জয়েন্ট টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টার জানিয়েছে, বুধবার পর্যন্ত এ ঝড় অন্ধ্র উপকূলের দিয়ে অগ্রসর হয়ে তারপর উত্তর দিকে বাঁক নেবে। ৩ মে দক্ষিণ ভারতের বিশাখাপত্তম উপকূলে পৌঁছে ফণা নুয়ে পড়তে পারে ফণীর।