ওসমানীনগর থেকে সংবাদদাতা :
ওসমানীনগরে চাচাদের হামলায় নবম শ্রেণীতে পড়–য়া আমিনা বেগম (১৭) নামের এক স্কুল ছাত্রী আহত হয়েছেন। সে উপজেলার ইসলামপুর-ঝাপুর গ্রামের চুরত আলীর মেয়ে ও স্থানীয় কেজি ডিএস উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় স্কুল ছাত্রীর পিতা বাদি হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। কিন্তু ঘটনাটি সালিশ মিমাংসার নামে কালক্ষেপণ করা হচ্ছে। এতে মামলার অগ্রগতিও করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ ওঠেছে। এদিকে আহত স্কুল ছাত্রীর হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে আসার পর বুধবার রাতে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ফের তাকে বালাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে হামলায় আহত স্কুলছাত্রীর মা আমিনা বেগমও (৩৫) বালাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। হামলার ঘটনায় স্কুল ছাত্রীর পিতার দায়েরকৃত অভিযোগে তার আপন ভাই লেখন মিয়া, রিপন মিয়া, রাজা মিয়া, রিপন মিয়ার স্ত্রী রহিমা বেগমকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, স্কুল ছাত্রীর পিতা চুরত আলী বাড়ির চলাচলের রাস্তা নিয়ে তারই আপন ভাই রিপন মিয়া ও লেখন মিয়ার সাথে বিরোধ চলে আসছে। এ ঘটনায় গত ৯ এপ্রিল চুরত মিয়া বাদি হয়ে রিপন মিয়াদের অভিযুক্ত করে ওসমানীনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগ দেয়ার বিষয়টি জানতে পেরে রিপন মিয়াসহ তার অনান্য ভাইরা ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযোগ তুলে আনার জন্য সুরত মিয়াকে চাপ সৃষ্টি করেন। কিন্তু সুরত মিয়া অভিযোগ তুলে আনেননি। এরই জের ধরে গত ১৪ এপ্রিল বিকেলে রিপন মিয়া তার অনান্য ভাইদের নিয়ে চুরত মিয়ার ওপর হামলা করেন। এ সময় চুরত আলী দৌড়ে পালিয়ে গেলে চুরত মিয়ার স্কুল পড়–য়া মেয়ে ও স্ত্রীকে পিটিয়ে মারাত্মক আহত করা হয়। স্থানীয়রা এগিয়ে এসে আহতদের উদ্ধার করে বালাগঞ্জ সদর হাসাপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। কিন্তু বিষয়টি পারিবারিক হওয়ায় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ আপোষে নিষ্পত্তির চেষ্টা করেন বলে জানা গেছে।
চুরত আলী বলেন, ওরা আমার ওপর হামলা করতে ব্যর্থ হয়ে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে আমার মেয়ের ওপর হামলা চালিয়েছে। তাদের হামলায় আমার মেয়ে মাথায় মারাত্মক ভাবে আহত হয়। শরীরের ক্ষতস্থানে ১০টি সেলাই লেগেছে। এ ঘটনায় আমি থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়ার পরও আপোষে নিষ্পত্তির কথা বলে কালক্ষেপণ করা হচ্ছে। আমার মেয়ের অবস্থার অবনতি হওয়ায় বৃহস্পতিবার তাকে হাসপাতালে ভর্তি করছি। চিকিৎসকরা জানিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে দ্রুত সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নিতে হবে।
ওসমানীনগর থানার এসআই মনিরুল ইসলাম বলেন, স্কুল ছাত্রী আহত হওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। কিন্তু বিষয়টি ওদের পারিবারিক হওয়ায় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ আপোষে নিষ্পত্তির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। নিষ্পত্তি না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। ওসি স্যারসহ ঊর্ধ্বতনরা এ বিষয়টি অবগত আছেন।