লোকসভা নির্বাচনে তৃতীয় দফা ভোট সম্পন্ন, সংঘর্ষে নিহত ১

7

কাজিরবাজার ডেস্ক :
ভারতের লোকসভা নির্বাচনে তৃতীয় দফায় ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে ভোটকেন্দ্রগুলোতে সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে নিজেদের রায় দিয়েছেন ভোটাররা। সাত দফার নির্বাচনে এদিন সবচেয়ে বেশি আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এদিন ভারতের ১৩টি রাজ্য এবং দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ১১৭ আসনের ভোট নেয়া হয়। ভোটগ্রহণ ছিল মোটামুটি শান্তিপূর্ণ। তবে কোথাও কোথাও সংঘর্ষ ও বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় অন্তত ১ জনের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এদিকে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
শুধু বেশি আসনে ভোট হওয়াই নয় প্রার্থী তালিকার দিক থেকেও এই দফার ভোটাভুটি আলাদা। গুজরাটের গান্ধীনগর থেকে লড়ছেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। কেরালার ওয়ানড কেন্দ্র থেকে লড়ছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। মঙ্গলবার গুজরাট, কেরালা, মহারাষ্ট্র, কর্নাটক, উত্তর প্রদেশ, ছত্তিশগড়, ওড়িশা, বিহার, অসম, পশ্চিমবঙ্গ ও জম্মু-কাশ্মীরে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া কেন্দ্রশাসিত দাদরা এবং নগর হাভেলি, দমন ও দিউয়ের একটি করে আসনে নির্বাচন হয়। এ দফায় মোট এক হাজার ৬১২ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। গত লোকসভা নির্বাচনে যেসব জায়গায় বিজেপির ফল তুলনামূলকভাবে খারাপ হয়েছিল মঙ্গলবার মূলত সেসব জায়গাতেই ভোট হয়েছে। ফলে এবার এসব স্থানে নিজেদের আসন সংখ্যা বাড়িয়ে নিতে মরিয়া বিজেপি।
কংগ্রেস চাইলে মোদির বিরুদ্ধে ভোটে লড়ব- প্রিয়াঙ্কা গান্ধী : হাতে আর মাত্র সাতদিন। তার পরই শেষ হয়ে যাবে এবারের লোকসভা নির্বাচনের শেষ দফা ভোটগ্রহণের মনোনয়ন পর্ব। সেই শেষ দফায় কি হাইভোল্টেজ লড়াই দেখার সুযোগ মিলবে ভারতবাসীর। উত্তর রয়েছে কংগ্রেসের কাছেই। মঙ্গলবার ভোটের প্রচারে এক প্রশ্নের জবাবে কংগ্রেস চাইলে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে লড়তে চান বলে জানিয়েছেন।
আগামী ১৯ মে লোকসভা নির্বাচনের শেষ দফার ভোটগ্রহণ। ওই দিনই ভোট নেয়া হবে বারাণসীর। সেখান থেকে গতবারের মতো এবারও লড়ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু তার প্রতিপক্ষ হিসেবে কি এবার দেখা যাবে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে। কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে দাবি উঠেছে অনেক আগে থেকেই। তারা মোদির বিরুদ্ধে প্রিয়াঙ্কাকেই প্রার্থী হিসেবে দেখতে চাইছেন। কর্মী-সমর্থকদের সেই দাবিকে কার্যত মেনে নিলেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা। তবে তিনি মোদির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত দলের হাতেই ছেড়েছেন। জানিয়েছেন, দল চাইলে তিনি মোদির বিরুদ্ধে ভোটে দাঁড়াতে রাজি। সোমবার থেকে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা আমেথি ও রায়বরেলিতে নির্বাচনী প্রচার করছেন। ওই দুই কেন্দ্র কংগ্রেসের গড় হিসেবে পরিচিত। রায়বরেলির সাংসদ তার মা ইউপিএ চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধী। আমেথির সাংসদ তার ভাই কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। তাদের সমর্থনে সেখানে প্রচার করছেন তিনি।